চলে গেলেন ১৯৮২ বিশ্বকাপ জয়ী পাওলো রসি

২০২০ সালে যেন খ্যাতিমানদের মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে। কদিন আগেই পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিয়েছেন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা ও আলেহান্দ্রো সাবেয়া। এবার তাদের সঙ্গী হলেন ইতালিয়ান কিংবদন্তি পাওলো রসি। ৬৪ বছর বয়সেই বিদায় নেন ১৯৮২ বিশ্বকাপজয়ী এ তারকা।
ছবি: সংগৃহীত

২০২০ সালে যেন খ্যাতিমানদের মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে। কদিন আগেই পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিয়েছেন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা ও আলেহান্দ্রো সাবেয়া। এবার তাদের সঙ্গী হলেন ইতালিয়ান কিংবদন্তি পাওলো রসি। ৬৪ বছর বয়সেই বিদায় নেন ১৯৮২ বিশ্বকাপজয়ী এ তারকা।

আরএআইর স্পোর্টস প্রেজেন্টার এনরিকো ভেরালের মাধ্যমে রসির মৃত্যু সংবাদটি প্রথমে জানা যায়। পরে তার স্ত্রী ফেদেরিকা কাপালেত্তি সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এনরিকো ভারালে নিজের টুইটে লিখেছেন, 'কি দুঃখের একটা সংবাদ। পাওলো রসি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। পাবলিতো অবিস্মরণীয়। সে ১৯৮২ বিশ্বকাপে আমাদের ভালোবাসার বন্ধনে বেঁধেছিল। আরএআইয়ে আমরা সাম্প্রতিক সময়ে এক সঙ্গে কাজ করতাম। শান্তিতে ঘুমাও পাওলো।'

রসিকে সর্বকালের সেরা ফরোয়ার্ডদের একজনই ভাবা হয়। ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে রসির নৈপুণ্যেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইতালি। সে আসরে গোল্ডেন বল ও গোল্ডেন বুট দুটোই জিতেছিলেন রসি। একই বছর জিতে নেন ব্যালন ডি’রও।

সেই বিশ্বকাপের আগে ম্যাচ পাতানো কেলেঙ্কারিতে দুই বছরের জন্য তিনি নিষিদ্ধ ছিলেন রসি। বিশ্বকাপের ঠিক আগে নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে আসেন। শুরুতে কিছু করতে না পারলেও কোয়ার্টার ফাইনালে তার হ্যাটট্রিকে আসরের ফেভারিট ব্রাজিলকে হারায় ইতালি। সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে আরও তিনটি গোল করেন এ কিংবদন্তি।

ক্লাব ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় খেলেছেন ইতালিতেই। ক্লাব ফুটবলে ১৯৭৩ সালে শুরুটা হয় জু্ভেন্টাস দিয়েই। কোমো, ভিসেঞ্জা, পেরুগিয়া হয়ে আবারও ১৯৮১ সালে ফিরে আসেন তুরিনে। পরে খেলেছেন এসি মিলানেও। জুভেন্টাসের হয়ে দুটি লিগ শিরোপার পাশাপাশি ১৯৮৪ সালে জিতেছেন ইউরোপিয়ান কাপ (চ্যাম্পিয়নস লিগ)।

সবমিলিয়ে ইতালির হয়ে ৪৮ ম্যাচে ২০ গোল করেছেন রসি। বুট তুলে রাখার পর কাজ করেছেন ফুটবল পণ্ডিত হিসেবে।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago