নুরকে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
প্রাইভেটকারের মাধ্যমে দুই দফা ধাক্কা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার দিনগত রাত ১১টার দিকে রাজধানীর মালিবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাত সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নুর।
গাড়িচাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে পল্টনের জামান টাওয়ারে সংবাদ সম্মেলন করেন ভিপি নুর।
সংবাদ সম্মেলনে নুর জানান, গতকাল রাত ১১টার দিকে তার বাড্ডার বাসায় ফেরার পথে মালিবাগ ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো গ- ৩১-৬৫০৮) তাদের অনুসরণ করে তাড়া করে। পরপর দুইবার প্রাইভেটকারটি নুরদের মোটরসাইকেলকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু মোটরসাইকেলচালক আমিনুল ইসলাম (২৪) কৌশলে প্রাইভেটকারের ধাক্কা এড়িয়ে যাওয়ায় ওই প্রাইভেটকারটি হাতিরঝিল থানাধীন ডিআইটি রোডের আবুল হোটেলের সামনে একটি বাসকে সজোরে ধাক্কা দেয়।
অভিযোগে বলা হয়, বাসের সঙ্গে ধাক্কা দেওয়ার পরে প্রাইভেটকারটির চালক গাড়িটিকে কিছুটা পিছনের দিকে নিয়ে পুনরায় নুরদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করে। এরমধ্যে স্থানীয় জনসাধারণ এগিয়ে আসলে প্রাইভেটকারটি ইউটার্ন নিয়ে চলে যায়।
নুর বলেন, ঘটনা সংঘটনের সময় তিনি মোটরসাইকেলে না থেকে পাশের অন্য একটি গাড়িতে ছিলেন। তার সহযোগী শাকিল উজ্জামান ও মো. সোহরাব হোসেন পিছনের আরেকটি গাড়িতে থেকে ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেন।
সংবাদ সম্মেলেনে সোহরাব বলেন, ‘গাড়িটি ধাক্কা দেওয়ার পর তিনি চালককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি নিজেকে খন্দকার সাব্বির আহম্মেদ নামে পরিচয় দেন। তিনি জানান, গাড়িটি একজন সচিবের ছেলের। গাড়িটিতে সচিবালয়ের স্টিকার ছিল।’
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) রাশেদ খাঁন বলেন, ‘সেসময় চালক ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দেন। একবার বলেছেন, ব্রেক ফেইল হয়েছে; আরেকবার বলেছেন, ছিনতাইকারী ধাওয়া করতে গিয়ে এমন হয়েছে।’
হত্যার উদ্দেশে এমনটা করা হয়েছে দাবি করে নুরুল হক নুর বলেন, ‘গাড়িচাপা দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
তিনি অভিযোগ করেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে গাড়ির মালিকের পরিচয় পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ছেড়ে দেয়।
তিনি ঘটনার বিষয়ে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি নিজের ও ছাত্র পরিষদের অন্যান্য নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার হারুন অর রশিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। আজ হাতিরঝিল থানার কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত শুনব। নুরের সঙ্গে কী ঘটেছিল, সেটা আমরা তদন্ত করে দেখব।’
Comments