বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ৪৯তম শাহাদাতবার্ষিকী পালিত

নোয়াখালীর কৃতি সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিনের ৪৯তম শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিনের গ্রামের বাড়িতে নানা আয়োজনে পালিত হয় ৪৯তম শাহাদাতবার্ষিকী। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর কৃতি সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিনের ৪৯তম শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নানা কর্মসূচির মাধ্যমে তার গ্রামের বাড়ি সোনাইমুড়ীর বাগপাঁচড়া গ্রামে তার শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হয়।

এসময় উপস্থিত সেখানে উপস্থিত ছিলেন- বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের পরিবারের সদস্যরা ও সোনাইমুড়ী উপজেলা  নির্বাহী কর্মকর্তা টিনা পালসহ উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।

বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিনের পরিবার ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ৪৯তম শাহাদত বার্ষিকী ছিল বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর)। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন একাডেমি কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের বাগপাঁচড়া গ্রামে অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন স্মৃতি জাদুঘর মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার টিনা পাল। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখে-ন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আফম বাবুল বাবু, মোজাম্মেল হোসেন, মাহফুজুর রহমান বাহার, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মাওলা, মোস্তফা ভূঁইয়া, দেওটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আমিন শাকিল, ইউসুফ মিয়া ও বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিনের নাতি মো. সোহেল।

১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় তিনি খুলনায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও রাজাকারদের ছোড়া বোমায় দগ্ধ হয়ে শাহাদাত বরণ করেন।

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ১৯৩৫ সালে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের বাগপাঁচড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মো. আজহার পাটোয়ারী ও মা জুলেখা খাতুন। তিনি পরিবারের বড় ছেলে ছিলেন। তিনি বাগপাঁচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা ও সোনাইমুড়ী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৪৯ সালে এসএসসি পাস করেন। এরপর তিনি পাকিস্তান নৌবাহিনীতে যোগ দিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে করাচী যান। তিনি পাকিস্তানের ম্যানোরা দ্বীপ থেকে প্রশিক্ষণ শেষে প্রবেশনারি হিসেবে করাচীর পিএনএস কারসাজে কাজ শুরু করেন।

বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে রুহুল আমিন পাকিস্তানি নৌ বাহিনীর চাকরি ছেড়ে গ্রামের বাড়ি চলে আসেন। এরপর তিনি এলাকার কয়েকশ তরুণ-যুবকদের নিয়ে একটি মুক্তিযুদ্ধের দল গঠন করেন। ১৯৭১ সালের মে মাসে প্রথম সপ্তাহে ৫০০ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবকদের নিয়ে তিনি ৩নং সেক্টর কমান্ডার মেজর কে এম শফিউল্লাহর অধীনে যুদ্ধে যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজে যোগদান করেন। এসময় তিনি যুদ্ধ জাহাজ পলাশ ও পদ্মার স্কয়াড্রন লিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সনের ১০ ডিসেম্বর খুলনার রূপসা নদীতে

মুক্তিযোদ্ধাদের বহনকারী যুদ্ধ জাহাজ পলাশের ইঞ্জিন রুমের দায়িত্ব পালনের সময় পাকিস্তান বাহিনী ও রাজাকার, আলবদর বাহিনীর ছোড়া বোমায় ওই জাহাজের ইঞ্জিনরুমে আগুন ধরে যায়। পরে আগুনে দগ্ধ হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago