কৃষক আন্দোলনকে ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার বিষয়’ ভেবেছেন বরিস জনসন!
ভারতের কৃষক আন্দোলনকে ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার বিষয়’ হিসেবে উল্লেখ করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানায়, বুধবার পার্লামেন্টে যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য তানমানজিত সিং ধেসির এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন বরিস জনসন।
টুইটারে পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা গেছে, বরিস জনসনের কাছে তানমানজিত সিং ধেসি প্রশ্ন করেছিলেন, ভারতে কৃষকদের ওপর যেভাবে জল কামান, টিয়ার শেল প্রয়োগ করে আন্দোলন কঠোরভাবে দমনের চেষ্টা চলছে সে ব্যাপারে যুক্তরাজ্য সরকারের অবস্থান কী?
জবাবে বরিস জনসন বলেন, ‘আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হলো, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যা ঘটছে তা নিয়ে আমাদের অবশ্যই গভীর উদ্বেগ রয়েছে। তবে এর সমাধানে দুই দেশের সরকারকেই আগে এগিয়ে আসতে হবে।’
ভিডিওতে দেখা গেছে, বরিসের এমন মন্তব্য শোনার পরপরই ধেসি বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যকে অজ্ঞতাপূর্ণ ও হতাশাজনক বলে টুইট করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘গোটা বিশ্ব এটি দেখছে, ইস্যুটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ, কয়েক হাজার হাজার মানুষ বিশ্বজুড়ে এর প্রতিবাদ করেছে। বিবিসিসহ লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এটি নিয়ে রিপোর্ট করেছে। বরিস জনসন আবোল-তাবোল মন্তব্য আমাদের জাতিকে বিব্রত করে। তার এ বিষয়ে কোনো ধারণাই নেই। তার প্রতিক্রিয়া নিয়ে আমি হতাশ।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বরিস জনসনের এমন মন্তব্য নিয়ে আরও অনেকেই সমালোচনা করেছেন। ব্রিটেনের সংসদ সদস্য আফজাল খান বলেন, ‘এটি বরিস জনসনের আরেকটি হতাশাজনক আচরণ। প্রধানমন্ত্রী ভারত পাকিস্তান সম্পর্কে তার মুখস্ত করা অপ্রাসঙ্গিক উত্তর দিয়েছেন। এই ইস্যুর সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো সম্পর্ক নেই। অবিশ্বাস্য!’
দেশটির আরেক সংসদ সদস্য জাহরা সুলতানা বলেন, ‘একজন প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীর আর পাঞ্জাবের পার্থক্য জানবেন, এটি কি খুব বেশি কিছু চাওয়া?’
উল্লেখ্য, ভারতে বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের বিক্ষোভে উত্তাল দিল্লির সীমান্ত। আইন বাতিলের দাবিতে করোনা মহামারির মধ্যে তীব্র শীত উপেক্ষা করে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে কয়েক লাখ কৃষক দিল্লি সীমান্তে আন্দোলন করছেন।
Comments