ধর্ষণের সাজা ৯ বছর কারাদণ্ডই থাকল রবিনহোর
অভিযোগ আগেই প্রমাণ হয়েছিল। সাজাও পেয়েছিলেন। তবে তার বিপক্ষে আপীল করেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা রবিনহো। তাতে অবশ্য সুবিধা হয়নি তার। আলবেনীয় বংশোদ্ভূত ২৩ বছর বয়সী এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে জড়িত থাকায় ৯ বছর কারাদণ্ডের সাজাই বহাল থাকল এ ব্রাজিলিয়ানের।
ঘটনাটি ২০১৩ সালের। এসি মিলান ক্লাবে থাকাকালীন সময়ে ইতালির উত্তরাঞ্চলের শহর মিলানের একটি নাইট ক্লাবে ২৩তম জন্মদিন পালন করছিলেন সেই নারী। সেখানেই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন তিনি। তাতে জড়িত ছিলেন রবিনহো ও তার বন্ধু রিকার্ডো ফ্যালকো। পরে ২০১৭ সালে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ৯ বছরের জেল দেওয়া হয় রবিনহোকে। জেলের শাস্তি এড়াতে ইতালিতে গিয়ে খেলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন রবিনহো।
রায়ের পর সেই নারীর আইনজীবী ইয়াকোপো জিনোচ্চি বলেন, 'নারীদের রক্ষা করা এবং নিয়ম-নীতি যে প্রয়োজনের সময় কার্যকর তার একটি উদাহরণ হিসেবে স্থাপিত হবে এ শাস্তি।'
এদিকে ইতালি থেকে দেশে ফিরেও স্বস্তিতে নেই রবিনহো। শাস্তি এড়াতে পারলেও ব্রাজিলের ফুটবলেও ঠাঁই হয়নি। এ ধরণের অপরাধে যুক্তি থাকা খেলোয়াড়কে রাখতে চায় না সান্তোস। এরমধ্যেই তার সঙ্গে করা সব চুক্তি বাতিল করেছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি। মূলত চলতি বছরের অক্টোবরে তাকে দলে নেওয়ার পর প্রচুর সমালোচনা হয় যে, একজন ধর্ষককে পুনর্বাসন করছে সান্তোস। যে কারণে রবিনহোর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে বাধ্য হয় ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।
সান্তোসের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে রবিনহো লিখেছিলেন, 'আমি যদি কারও ঝামেলার কারণ হয়ে থাকি, তা হলে আমার চলে যাওয়াই ভালো। এখন আমি ব্যক্তিগত ব্যাপারে মনোযোগ দেব। সান্তোসের সমর্থক এবং যারা আমাকে পছন্দ করেন, তাদের জানাতে চাই, আমি নির্দোষ, তা প্রমাণ করে ছাড়ব।' তবে শেষ পর্যন্ত তা করতে পারলেন না রবিনহো।
উল্লেখ্য, এর আগেও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল রবিনহোর বিরুদ্ধে। ২০০৯ সালে ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলার সময় লিডসের একটি নাইট ক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতারও করেছিল। পরে জামিনে মুক্ত হন। গুঞ্জন রয়েছে সে নারীর সঙ্গে পরে আপোষ করে মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন সেবার। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন এ ব্রাজিলিয়ান।
Comments