করোনা সনদ ছাড়া বাংলাদেশে যাত্রী পরিবহন, মালদিভিয়ান এয়ারলাইনসকে জরিমানা
কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ ছাড়াই যাত্রী পরিবহন করে বাংলাদেশে নিয়ে আসায় মালদিভিয়ান এয়ারলাইনসকে দুই লাখ ৩৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার এয়ারলাইনসটি দুই শ জন যাত্রীকে নিয়ে এসেছে এবং তাদের প্রায় কারোরই করোনা নেগেটিভ সনদ ছিল না।
বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ জামিল।
গত ৪ ডিসেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ঘোষণা করে, ৫ ডিসেম্বর থেকে যারাই বাংলাদেশে আসতে চাইবে, তাদের অবশ্যই করোনার নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে ফ্লাইটের সময় থেকে সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টা আগের সনদ গ্রহণযোগ্য হবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সতর্কতার অংশ হিসেবে এই কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে বেবিচক।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া এবং এখানে আসা প্রত্যেক এয়ারলানসকেই বেবিচক নির্দেশনা দিয়েছে, কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ ছাড়া যেন কোনো যাত্রীকে বোর্ডিং পাস না দেওয়া হয়।
সম্প্রতি করোনার নেগেটিভ সনদ ছাড়া দেশে আসা যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। নভেম্বরে চার হাজারেরও বেশি যাত্রী কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ ছাড়া দেশে এসেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার দেশে আসা যাত্রীদের করোনা সনদ থাকা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে।
আহমেদ জামিল বলেন, ‘দুই শ যাত্রীর মধ্যে ৮২ জন বাংলাদেশি প্রবাসী, যাদের বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমআইটি) সার্টিফিকেট রয়েছে। সে কারণে তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকার শর্তে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাকি ১১৮ জন যাত্রীকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, সরকারের নিয়ম অনুযায়ী কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ ছাড়া আকাশপথে কেউ বিদেশ থেকে এসে দেশে প্রবেশ করতে পারবে না।
কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ ছাড়া যাত্রী পরিবহন করায় সম্প্রতি বিমান বাংলাদেশসহ নয়টি এয়ারলাইনসকে মৌখিকভাবে সতর্ক করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বিমান বাংলাদেশ ছাড়া বাকি এয়ারলাইনসগুলো হলো— সালাম এয়ার, কুয়েত এয়ারওয়েজ, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস, এমিরেটস, এয়ার এশিয়া, এয়ার অ্যারাবিয়া, গালফ এয়ার ও তুর্কিশ এয়ারলাইনস।
Comments