‘ট্রাম্প প্রশাসনের চাপে’ ফাইজারের ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিলো এফডিএ
জরুরি ব্যবহারের জন্য ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)। মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানায়, ফাইজারের ভ্যাকসিনের অনুমোদন প্রশ্নে গত কয়েক দিন ধরেই ট্রাম্প প্রশাসনের চাপের মুখে ছিল এফডিএ।
অনুমোদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দেশটিতে ভ্যাকসিন গ্রহণ কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিষয়ক সম্পাদক আলেক্স আজার সাংবাদিকদের জানান, সোমবার বা মঙ্গলবারের মধ্যে ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরু করতে ফাইজারের সঙ্গে তার বিভাগ কাজ করবে।
এর আগে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ফাইজার ও জার্মান বায়োটেকনোলজি কোম্পানি বায়োএনটেকের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন যুক্তরাজ্য, কানাডা, বাহরাইন ও সৌদি আরবে অনুমোদন পায়।
প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, ফাইজারের ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিতে এফডিএ কমিশনার ডা. হানকে প্রবল চাপের মুখে ফেলে ট্রাম্প প্রশাসন। শুক্রবার, এফডিএ কমিশনার ডা. স্টিফেন হানকে ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিতে অথবা পদত্যাগপত্র জমা দিতে বলেন হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ মার্ক মিডোস।
তবে, চিফ অব স্টাফের কাছ থেকে ফোনকল পাওয়ার খবরকে ‘অসত্য’ বলে জানিয়েছেন ডা. হান। তিনি জানান, ভ্যাকসিন নিয়ে তাকে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করতে উৎসাহিত করা হয়েছে।
গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক টুইটে এফডিএকে ‘বড়, বৃদ্ধ, ধীরগতির কচ্ছপ’ বলে তিরষ্কার করেন। এফডিএ প্রধানকে তাড়া দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিনগুলো এখনই বের করুন, ডা. হান। খেলা বন্ধ আর জীবন বাঁচানো শুরু করুন।’
যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রথম চালানে ছয় দশমিক চার মিলিয়ন ডোজ সরবরাহের পরিকল্পনা করেছে ফাইজার।
করোনা প্রতিরোধে প্রত্যেককে দুই ডোজ করে ফাইজারের ভ্যাকসিন নিতে হবে। ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশটির ২১ মিলিয়ন স্বাস্থ্যকর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি দীর্ঘ সময় ধরে কেয়ার হোমে থাকা ৩০ মিলিয়ন প্রবীণ আমেরিকানকেও ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)।
কর্মকর্তারা বলছেন, ২০২১ সালের বসন্তে কম ঝুঁকিতে থাকা গ্রুপ ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Comments