নাহিদুলের স্পিনে পরাস্ত হয়ে তামিমদের দিকে তাকিয়ে শান্তরা

nahidul islam
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সৌম্য সরকার ও লিটন দাসের ঝড়ো ফিফটিতে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী পেল কঠিন লক্ষ্য। রান তাড়ায় তাদের শুরুটা হলো না জুতসই। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের অফ স্পিনার নাহিদুল ইসলামের ঘূর্ণিতে পাওয়ার প্লেতে তারা হারিয়ে ফেলল টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে। উইকেট পতনের ধারায় ছেদ টানতে পারলেন না পরের ব্যাটসম্যানরাও। গড়ে উঠল না কোনো ভালো জুটি। ফলে চট্টগ্রামের কাছে পাত্তা পেলেন না নাজমুল হোসেন শান্তরা। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের শীর্ষ চারে জায়গা করে নিতে তাদেরকে এখন তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে বেক্সিমকো ঢাকা-ফরচুন বরিশালের ম্যাচের দিকে।

শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতার প্রাথমিক পর্বের শেষ দিনে চট্টগ্রামের কাছে ৩৬ রানে হেরেছে রাজশাহী। ১৭৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় পুরো ওভার খেলে তারা তুলতে পারে ৮ উইকেটে ১৩৯ রান। ৮ ম্যাচে রাজশাহীর অর্জন ৪ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে আগেই প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত করেছে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থাকা চট্টগ্রাম।

দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে একই ভেন্যুতে বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে তামিম ইকবালের বরিশাল মুখোমুখি হবে মুশফিকুর রহিমের ঢাকার। এই ম্যাচে জয় পেলেই বরিশাল উঠে যাবে শেষ চারে। ৭ ম্যাচে তাদের পয়েন্টও ৪। রান রেটেও সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছে তারা। ঢাকা ইতোমধ্যে প্রাথমিক পর্বের বাধা পাড়ি দিয়েছে। ৭ ম্যাচে তারা পেয়েছে ৮ পয়েন্ট।

রাজশাহীর ছয় ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কে পৌঁছালেও কেউই ছুঁতে পারেননি ত্রিশের কোটা। ২৮ বলে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন নুরুল হাসান সোহান। এছাড়া, শেখ মেহেদী হাসানের ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ২৬ রান। ম্যাচসেরা নাহিদুলের স্পিন জাদুতে দলীয় ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ছিটকে যাওয়া রাজশাহীর পরে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট। জিয়াউর রহমান ২ উইকেট দখল করেন ১৭ রানের বিনিময়ে।

এর আগে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৫ রান তোলে চট্টগ্রাম। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন সৌম্য। তার ৪৮ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা। আরেক ওপেনার লিটনের ব্যাট থেকে আসে ৪৩ বলে ৫৫ রান। তিনি মারেন ৫টি চার ও ১টি ছয়। চারে নামা শামসুর রহমান ১৮ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থেকে দলকে পাইয়ে দেন চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ। ৩টি ছয়ের সঙ্গে ১টি চার ছিল তার ইনিংসে।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করেন লিটন ও সৌম্য। স্বভাবসুলভ আগ্রাসী ঢঙে ব্যাটিং করতে থাকেন তারা। নান্দনিক সব শটে সীমানাছাড়া করতে থাকেন প্রতিপক্ষের বোলারদের। রাজশাহীর বাজে ফিল্ডিং, ক্যাচ মিসের মহড়ায় জীবন পেয়ে দুজনই তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৪.৫ ওভারে তারা যোগ করেন ১২২ রান।

সৌম্য-লিটনের দুর্দান্ত শুরুর পর টানা ৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় চট্টগ্রাম। এরপর শামসুরের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। তার কল্যাণে শেষ ২ ওভারে দলটি তোলে ৩৭ রান। ২১ রানে ২ উইকেট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার চারে থাকা রাজশাহীর সবচেয়ে সফল বোলার আনিসুল। উইকেটের দেখা পান রেজাউর রহমান রাজা আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম: ২০ ওভারে ১৭৫/৪ (লিটন ৫৫, সৌম্য ৬৩, মিঠুন ২, শামসুর ৩০*, মোসাদ্দেক ৩, জিয়াউর ১০*; সাইফউদ্দিন ১/৩২,শেখ মেহেদী ০/২৭, আরাফাত ০/১৩, রেজাউর ১/৩৮, সানজামুল ০/১৭, মুকিদুল ০/২৪, আনিসুল ২/২১)

মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী: ২০ ওভারে ১৩৯/৮ (শান্ত ১১, আনিসুল ৪, রনি ১৬, ফজলে ১৯, নুরুল ২৮, শেখ মেহেদী ২৬, সাইফউদ্দিন ৯, সানজামুল ১২, আরাফাত ৭*, রেজাউর ৩*; শরিফুল ১/২৮, নাহিদুল ৩/১৯, রাকিবুল ১/৩১, মোস্তাফিজ ১/২৩, মোসাদ্দেক ০/১৯, জিয়াউর ২/১৭)।

ফল: গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ৩৬ রানে জয়ী।

Comments

The Daily Star  | English
NBR speeds up auction process of abandoned goods

NBR moves to speed up auction of abandoned goods

About 2 lakh tonnes of imported goods left abandoned at Chattogram port alone for years

3h ago