কৃষক বিদ্রোহ: দিল্লি-জয়পুর মহাসড়ক অবরোধে ট্রাক্টর র্যালি
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি-জয়পুর মহাসড়ক অবরোধ করতে ট্রাক্টর র্যালি বের করেছেন কৃষকরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি’র জানিয়েছে, আজ রোববার কুয়াশা উপেক্ষা করে সকাল থেকেই মহাসড়কে দলে দলে সমবেত হতে শুরু করেছেন কৃষকরা।
আগামীকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অনশনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলেও সংবাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার গুড়গাঁও ও হরিয়ানাতে কৃষকরা মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে সেখানে চার হাজারেরও বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
একইদিনে, দিল্লি-আগ্রার মূল মহাসড়ক অবরোধ করতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন আন্দোলনকারীরা।
এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে আন্দোলনকে আরও জোরালো করার ঘোষণা দিয়েছেন কৃষক নেতারা।
এনডিটিভি জানিয়েছে, আজ ভারতের স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে বিক্ষোভকারীদের ট্রাক্টর নিয়ে দিল্লিতে মিছিল করার কথা রয়েছে।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আইন সংস্কার ও কৃষকদের আয় বাড়ানোর বিষয়ে নতুন করে আশ্বাস দিলেও এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন কৃষকরা।
ভারতীয় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ৯৩তম বার্ষিক কনভেনশনে নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘নতুন প্রবর্তিত কৃষি আইনের ফলে কৃষকদের আয় বাড়বে। ওই আইনের কারণে কৃষি ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খাতের মধ্যকার বাধা দূর হবে। কৃষকদের জন্য নতুন বাজার সৃষ্টি হবে। তারা নতুন প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ থেকে লাভবান হবে।’
তবে প্রধানমন্ত্রীর সেই বার্তা উপেক্ষা করে আজ দিল্লি-জয়পুর মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা দেন কৃষকেরা।
কৃষি আইন পুরোপুরি বাতিলের দাবিতে কৃষক নেতা কমল প্রীত সিং পান্নু গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘সরকার যদি আলোচনা করতে চায় আমরা প্রস্তুত। তবে, আমরা প্রথমেই আইন বাতিলের বিষয়ে আলোচনা করব। আমরা চাই সরকার আইনটি বাতিল করুক। আমরা আইনটি সংশোধনীর পক্ষে নই। কেন্দ্র আমাদের আন্দোলন ব্যর্থ করতে চায়। আমরা তা হতে দেব না।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সড়ক ঘোষণার পর দিল্লি-গুরুগাঁও সীমান্তে এক হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও ফরিদাবাদে মোতায়েন করা হয়েছে আরও সাড়ে তিন হাজার পুলিশ।
দিল্লি থেকে আগ্রা অভিমুখে যেতে চাওয়া কৃষকদের থামাতে আরও বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে বলেও সংবাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
গুড়গাঁওয়ের এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এনডিটিভি’কে বলেছেন, ‘বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত।’
এদিকে, আগামী বুধবার কৃষকদের বিক্ষোভ সম্পর্কিত তিনটি আবেদনের শুনানি করবে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। কৃষকদের এই আন্দোলন করোনা মহামারি মোকাবেলায় জরুরি স্বাস্থ্যসেবাকে বাধা দিচ্ছে বলে কোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
Comments