মেসির চেয়ে রোনালদো বেশি বন্ধুত্বপরায়ণ: আর্থুর
কার কাছে যাওয়া যায় কোনো দ্বিধা না রেখে? খুলে বলা যায় মনের কথা? সহজ কথায়, কে বেশি বন্ধুত্বপরায়ণ? প্রশ্নগুলো যদি হয় লিওনেল মেসি আর ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে ঘিরে, তাহলে উত্তর সবচেয়ে ভালো দিতে পারবেন তারাই, যারা খেলেছেন সময়ের দুই মহাতারকার সঙ্গে।
ক্লাব কিংবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মেসি-রোনালদো দুজনেরই সতীর্থ হিসেবে খেলার সৌভাগ্য হয়েছে হাতগোনা কিছু ফুটবলারের। সেই ছোট্ট তালিকায় আছেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার আর্থুর মেলো। দুই বছর মেসির সঙ্গে বার্সেলোনায় কাটিয়ে চলতি মৌসুমের শুরুতে তিনি যোগ দিয়েছেন রোনালদোর জুভেন্টাসে।
আর ইতালিতে পাড়ি জমিয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই পর্তুগিজ তারকা রোনালদোর একটি গুণ বিশেষভাবে নজর কেড়েছে আর্থুরের, যা আর্জেন্টাইন তারকা মেসির মধ্যে ঠিক একই পরিমাণে দেখতে পাননি তিনি।
স্প্যানিশ গণমাধ্যম এএসকে আর্থুর জানান, রোনালদো বেশি মিশুক, ‘মেসির সঙ্গে তুলনা করলে বলতে হয়, রোনালদো বেশি কথা বলেন এবং বেশি বন্ধুত্বপরায়ণ। কোনো সতীর্থের প্রয়োজনের সময়ে তিনি কখনো পিছিয়ে যান না। তিনি দৃঢ় সংকল্প হতে অনুপ্রেরণা যোগান।’
জুভেন্টাসে শুরুতেই রোনালদোর কাছ থেকে কতটা সহায়তা পেয়েছেন, সেটা তুলে ধরেন তিনি, ‘আমি (জুভেন্টাসে) আসার পর থেকে তিনি আমাকে অনেকভাবে সাহায্য করেছেন। কারণ, আমরা একই ভাষায় (পর্তুগিজ) কথা বলি। তিনি কাছে কাছে থাকেন এবং আমাকে সাহায্য করেন। যেমন, আমি বুঝতে পারিনি এমন বিষয়গুলোতে (তিনি সাহায্য করেছেন)। এমনকি কী খেতে হবে, সেটাও তিনি আমাকে বলে দিয়েছিলেন।’
রোনালদোর অনুশীলন দেখে মুগ্ধ হওয়ার কথাও বলেন আর্থুর, ‘তিনি একদম যেন পশুর মতো অনুশীলন করেন। বিরতি কী, তিনি তা জানেন না। তিনি সবসময় বাকিদের প্রেরণা যোগান সেরাটা দেওয়ার জন্য। তিনি ভাগ্যের হাতে কোনো কিছু ছেড়ে দেন না।’
মেসি-রোনালদোর মধ্যে কে সেরা খেলোয়াড়, সেই তর্কে অবশ্য যাননি তিনি, ‘তারা দুজনই চ্যাম্পিয়ন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ওরা একইরকম, সমানে-সমান। তিনটি গোল করার পরের মুহূর্তেই তারা চার নম্বর গোলের ভাবনা শুরু করে দেয়। এটা অসাধারণ এবং একইসঙ্গে অনুপ্রেরণামূলক।’
Comments