'টি-টোয়েন্টিতে অচল' ট্যাগধারীরা ভুল ভাঙিয়েছেন: সুজন
ভাবা হয় নিয়মিত যারা ধুম ধারাক্কা ব্যাটিং করতে পারেন তাদের জন্যই হালের টি-টোয়েন্টি সংস্করণ। কিন্তু এ কথাকে ভিত্তিহীন করে চলতি বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে অনেক 'টি-টোয়েন্টিতে চলে না' এমন ট্যাগধারীরাও দারুণ খেলেছেন। বিশেষকরে সাইফ হাসান, তৌহিদ হৃদয় ও আকবর আলীদের মতো খেলোয়াড়রা নিজেদের প্রমাণ করেছেন। তাতে দারুণ উচ্ছ্বসিত বেক্সিমকো ঢাকার কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন।
সাইফ হাসানকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের টেস্ট সংস্করণের জন্যই বিবেচনা করা হয়। ঘরোয়া ক্রিকেটেও তাকে সবসময় দেখে শুনে সময় নিয়েই খেলতে দেখা যায়। সেই সাইফই চলতি বঙ্গবন্ধু কাপে অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন। ফরচুন বরিশালের শেষ দুটি জয়ের অন্যতম নায়কই ছিলেন তিনি। অথচ তাকে না নিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজকে দিয়ে ওপেন করিয়ে ধুঁকছিল দলটি। সাইফকে দলে নেওয়ার পরই যেন চাঙ্গা হয়ে ওঠে বরিশাল।
হৃদয়ের ক্ষেত্রেও প্রায় একই ব্যাপার। কিছুটা সময় নিয়েই খেলতে পছন্দ করেন তিনি। সেই হৃদয় আগের দিন মাত্র ২২ করেছেন ৫১ রান। এর আগেও দুটি ম্যাচে ৩৩ রান করে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। যদিও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। তবে হালের টি-টোয়েন্টিটা যে তারা ভালো খেলতে পারেন তা ভালোভাবেই প্রমাণ করেছেন।
প্রমাণ করার বিষয় ছিল অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক আকবর আলীর জন্যও। এর আগে প্রেসিডেন্টস কাপে তার ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছিল বড়দের ম্যাচে মানানসই নন তিনি। সেই আকবর চলতি আসরে নিজের জাত চিনিয়েছেন। ছয়-সাত নম্বরে একজন কার্যকরী ব্যাটসম্যান হতে পারেন তার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ছয় নম্বরে নেমে রাজশাহীর সঙ্গে অপরাজিত ২৩ বলে ৪৫ রানের ইনিংস আর খুলনার সঙ্গে ১৪ বলে ৩১ রানের ইনিংসেই তার প্রমাণ মেলে।
এ তরুণরা নিজেদের প্রমাণ করতে পারায় আসরের উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে বলে মনে করেন ঢাকা কোচ, 'এই আসরের যে উদ্দেশ্য ছিল, সেটা ভালো ভবেই পূরণ হয়েছে। প্রত্যেকটা ম্যাচ দেখেন বেশ উত্তেজনাপূর্ণ হচ্ছে। আবার অনেক ছেলে পারফর্ম করছে যাদেরকে আমরা আশাই করিনি। সাইফ হাসানের ব্যাপারে যে কথাটা উঠেছিল যে সাইফ টি-টোয়েন্টি পারবে না। কিন্তু ও যেভাবে ব্যাট করেছে অনেককেই ভুল প্রমাণিত করে দিয়েছে সাইফ।'
তবে শুধু যে ব্যাটসম্যানরাই নন, দারুণ করেছেন কিছু বোলারও। রবিউল ইসলাম রবির উদাহরণ টেনে সুজন বলেন, 'রবির কথা যদি বলেন হয়তো বা বিপিএল যদি ওভাবে হত বিদেশি ক্রিকেটার থাকত কোন দলে খেলারই সুযোগ পেত না। তো এটা একটা বড় দিক যে আমাদের ছেলেরা খেলার সুযোগ পাচ্ছে। জায়গা মত ব্যাটিং করার সুযোগ পাচ্ছে। সুতরাং ভবিষ্যতে এই আসর যদি আমরা ধারাবাহিক করতে পারি তাহলে আমার মনে হয় আগামী কয়েকবছরে আমরা বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেটার পেয়ে যাব। যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো খেলবে, আমাদের ম্যাচ জেতাতে সাহায্য করবে।'
Comments