আফিফের ঝড়ো ফিফটির পরও তামিমদের বিদায়

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের এলিমিনেটর ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকার কাছে ৯ রানে হেরে বিদায় নিল তামিম ইকবালের দল
afif hossain
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

নাগালে থাকা লক্ষ্যে তামিম ইকবাল ডট বলে বাড়ালেন চাপ। খেলা করে ফেললেন কঠিন। বিরূপ পরিস্থিতিতে থেকে স্রোতের বিপরীতে একা লড়লেন আফিফ হোসেন। তার ফিফটিও যথেষ্ট হলো না ফরচুন বরিশালের জন্য।

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের এলিমিনেটর ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকার কাছে ৯ রানে হেরে বিদায় নিল তামিম ইকবালের দল।  ১৫১ রান তাড়ায় আফিফের ৩৫ বলে ৫৫ রানের গেছে বিফলে। 

উইকেটে বল একটু গ্রিপ করলেও ১৫১ রানের লক্ষ্যটা বেশ নাগালেই। ওপেনিংয়ে আসেনি জুতসই শুরু। শফিউল ইসলামকে তিন চার মেরে ভাল কিছুর আভাস দিচ্ছিলেন সাইফ হাসান। কিন্তু তার বলেই উইকেটে টেনে বোল্ড হয়ে যান তিনি।

তিনে পারভেজ হোসেন ইমন আসতেই অফ স্পিনার নিয়ে আসে ঢাকা। রবিউল  ইসলামকে মারতে না পেরে চাপ বাড়ান পারভেজ। কয়েকটি ডটবল ঘটায় তার সমাপতন।  রবিউলের পরের ওভারে উইকেট থেকে বেরিয়ে মারতে গিয়ে লাইন মিস করে হন বোল্ড।

প্রথম ওভারে নাসুমকে দুই চার মেরে শুরু করা তামিম পরে হয়ে যান জড়োসড়ো। আফিফ হোসেন পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও রবিউল ছিলেন নিখুঁত। চাপ জারি রেখে ব্যাটসম্যানদের অস্থির করে তুলেন তিনি। আস্কিং রানরেট বেড়ে যায় দশের উপর।

অনেকগুলো ডট বল খেলা তামিম মুক্তার আলিকে পুল করতে গিয়ে পার করতে পারেননি সীমানা। ২৮ বলে ২২ রানে থামে তার সংগ্রামমুখর ইনিংস।

কিন্তু আফিফই দেখাচ্ছিলেন আশার বিচ্ছুরণ। ছক্কায় তিনিই বরিশালকে রেখেছিলেন ম্যাচে। অবশ্য ঢাকার ফিল্ডারদের অবদানও কম না। সিঙ্গেল আটকাতে গিয়ে আবেগ তাড়িত হয়ে মুশফিককে নিজ বোলার নাসুমের দিকে তেড়ে যেতেও দেখা গেছে।

আফিফকে রান আউটের সহজ সুযোগও হাতছাড়া করে তারা। সুযোগ পেয়ে ৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। তিনিই ম্যাচে রেখেছিলেন বরিশালকে। ১৭তম ওভারে শফিকুলের বলে ক্যাচ উঠিয়ে বিদায় নেন তিনি। তার ক্যাচ নিতে গিয়েও নাসুমকে মারতে উদ্যত হয়ে অপ্রীতিকর  দৃশ্যের জন্ম দেন ঢাকার অধিনায়ক।

ম্যাচের বাকিটা সময় আর লড়াইয়ে থাকতে পারেনি বরিশাল। তবে মুশফিকের দুই ঘটনার পর খেলা থেকে নজর সরে যায় অনেকের। শেষ ওভারে ২০ রানের চাহিদা মেটাতে না পেরে ১৪১ রানে থেমে যায় তামিমরা।

এর আগে ৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে শুরু ঢাকার। পরে ২২ রানেই তারা হারায় ৩ উইকেট। এমন অবস্থায় মুশফিক-ইয়াসির মিলে গড়েন ৫০ রানের জুটি। ৩০ বলে ৪৩ করে মুশফিক ফেরার পর আকবর আলি ও মুক্তার আলির সঙ্গে আরও দুই জুটি পান ইয়াসির। এই ব্যাটসম্যানের ৪৩ বলে ৫৪ রানের ইনিংসেই মূলত দেড়শো স্পর্শ করে লড়াইয়ের পূঁজি পায় ঢাকা। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বেক্সিমকো ঢাকা: ২০ ওভারে ১৫০/৮ (নাঈম ৫, সাব্বির ৮, আল-আমিন ০, মুশফিক ৪৩, ইয়াসির ৫৪, আকবর ২১, মুক্তার ৬*, রবি ৫, নাসুম ১; তাসকিন ১/২১, মিরাজ ২/২৩, সুমন ০/৩৩, শুভ ১/৩২, কামরুল ২/৪০)।

ফরচুন বরিশাল: ২০ ওভারে ১৪১/৯ (তামিম ২২, সাইফ ১২, ইমন ২, আফিফ ৫৫, হৃদয় ১২, শুভ ০, অংকন ১৫, মিরাজ ১৫, সুমন ৫, তাসকিন ০*; নাসুম ০/২৫, রুবেল ০/২২, শফিকুল ৩/৩৯, রবি ১/১৫, আল-আমিন ২/২২, মুক্তার ৩/১৮)।

 

ফলাফল: বেক্সিমকো ঢাকা ৯ রানে জয়ী।

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

14h ago