বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস

বিজয় দিবস থেকে সবার জন্য উন্মুক্ত হবে ময়মনসিংহের ‘জয় বাংলা চত্বর’

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে ময়মনসিংহে নির্মাণাধীন ‘জয় বাংলা চত্বর’র নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। বিজয় দিবস থেকেই সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য চত্বরটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন।
নির্মাণাধীন ‘জয় বাংলা চত্বর’। ছবি: স্টার

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে ময়মনসিংহে নির্মাণাধীন ‘জয় বাংলা চত্বর’র নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। বিজয় দিবস থেকেই সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য চত্বরটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও বেদীর মূল কাজ, সীমানা-প্রাচীর নির্মাণ ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে নগরীর বাংলাদেশ-চায়না ব্রিজ সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদের তীর ঘেঁষে নির্মিত হয়েছে এই চত্বর।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে এবং স্মৃতি রক্ষার্থে “জয় বাংলা চত্বর” নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল ১৬ ডিসেম্বর এ চত্বরের উদ্বোধন হবে। এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জানতে পারবে মানুষ।’

সিটি মেয়র জানান, এ চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট একটি প্রতিকৃতি নির্মাণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপনের পাশাপাশি এই চত্বরে বঙ্গবন্ধুর জীবনী এবং মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসও তুলে ধরা হয়েছে।

নির্মাণাধীন ‘জয় বাংলা চত্বর’র রাতের দৃশ্য। ছবি: স্টার

এই চত্বরের নকশা পরিকল্পনা ও নির্মাণ করেছেন ভাস্কর অনুপম সরকার জনি। চত্বরটির স্থাপত্য নকশা সম্পর্কে এই শিল্পী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির পেছনে রোপণ করা হয়েছে সাতটি পাম গাছ। যা সাত বীরশ্রেষ্ঠের আত্মত্যাগের স্মৃতি বহন করবে। প্রতিকৃতির সামনে রয়েছে ১৬টি স্তম্ভ। যা ১৬ই ডিসেম্বরের বিজয়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। দীর্ঘ নয় মাসে অর্জিত স্বাধীনতার কথা বিবেচনায় প্রতিটি স্তম্ভের দৈর্ঘ্য রাখা হয়েছে নয় ইঞ্চি।’

‘বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি যে অবকাঠামোতে বসানো হয়েছে, সেটির উচ্চতা ৩০ ফুট। যা ৩০ লাখ শহীদের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। প্রতিকৃতির ডান প্রান্তে থাকবে বঙ্গবন্ধুর স্মরণীয় উক্তি, আর বাম পাশে থাকবে বঙ্গবন্ধুর জীবনী। চত্বরের বাম পাশে রয়েছে সাতটি সিঁড়ি। এর মাধ্যমে ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বোঝানো হয়েছে। আর ডান পাশে রয়েছে ছয়টি সিঁড়ি। যার মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে ছয় দফা আন্দোলনকে’, বলেন তিনি।

ভাস্কর অনুপম সরকার জনি জানান, বেদীর দুই পাশে টেরাকোটার মাধ্যমে ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ পর্যন্ত ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। চত্বরে ফাইবার আর মার্বেল ডাস্ট দিয়ে ১৭টি শাপলা ফুল নির্মাণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে তুলে ধরার জন্য। প্রতিকৃতির দুই পাশে টেরাকোটার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের দৃশ্যপট ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এসব টেরাকোটায় ৭ই মার্চের ভাষণ থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ পর্যন্ত সব ইতিহাসই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

4h ago