চাঁদপুরে আ. লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২৫

Chandpur.jpg
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১২২ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। ছবি: স্টার

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১২২ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারে এই সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হেলাল উদ্দিন মিয়াজি জানান, তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নিয়ে ষড়যন্ত্র ও ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে হাজীগঞ্জ বাজারে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন। সমাবেশ শুরুর আগে হাজীগঞ্জ শহর ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদি হাসান রাব্বির নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের অপর একটি গ্রুপ তাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় তারা একটি মঞ্চ, পাশের একটি বেসরকারি হাসপাতাল, কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও যাত্রীবাহী বাস ভাঙচুর করে। সেসময় তারা টায়ার ও কাঠের টুকরা জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধেরও চেষ্টা করে।

তার দাবি, স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের নামে মিছিল নিয়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নামধারী সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালায়।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় আওয়ামী লীগের অপর এক নেতা বলেন, ‘আগামী ৩০ জানুয়ারি হাজীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ সংসদ সদস্যের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার প্রস্তুতি নিলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।’

হাজীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাসুদ ইকবাল ও যুগ্ম-আহ্বায়ক জাকির হোসেন সোহেল জানান, হাজীগঞ্জ বাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় যুবলীগের কোনো নেতা-কর্মী সম্পৃক্ত ছিলেন না। তবে রাহী নামের একজনের সঙ্গে সিগারেটের ধোঁয়া নিয়ে ফরহাদ নামের আরেক ছেলের তর্ক-বিতর্কের রেশ ধরে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে। এ নিয়ে দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করে। পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ১২২ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) আফজাল হোসেন বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগ বাজারে এ ধরনের কোনো সভা করবে বলে আমাদের অবগত করেনি। তারপরও সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা প্রায় তিন ঘণ্টা অবস্থান করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করি। এ ঘটনায় কোনো মামলা এবং কেউ আটক হয়নি।’

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia calls for unity

Institutionalise democracy, stay united

Urging people to remain united, BNP Chairperson Khaleda Zia has said the country must quickly seize the opportunity to institutionalise the democratic system.

59m ago