যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদের ভয়ঙ্কর আলবদর গঠনের প্রামাণ্য দলিল

‘পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের কর্মীরা যারা দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে আছে এবং যারা অনুগত, আন্তরিক ও সৎ পাকিস্তানি, তারা এই দুঃসময়ে সর্বোত্তমভাবে জাতির সেবা করতে প্রস্তুত।’

‘পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের কর্মীরা যারা দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে আছে এবং যারা অনুগত, আন্তরিক ও সৎ পাকিস্তানি, তারা এই দুঃসময়ে সর্বোত্তমভাবে জাতির সেবা করতে প্রস্তুত।’

মুক্তিযুদ্ধের সময় আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ পাকিস্তানি সামরিক শাসকদের কাছে এভাবেই বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের (আইসিএস) সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয় রুখে দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টায় আইসিএসের সদস্যদের নিয়ে কুখ্যাত আলবদর বাহিনী গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল।

এই আলবদর বাহিনী এক ভয়ঙ্কর মিলিশিয়া বাহিনীতে পরিণত হয়েছিল। তাদের কর্মকাণ্ড পরবর্তীতে পরিকল্পিত গণহত্যায় রূপ নেয়। মুজাহিদের নেতৃত্বে যুদ্ধের শেষ দিকে পাকিস্তানের আসন্ন পরাজয়ের জেনে পরিকল্পিতভাবে দেশটির উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা তথা শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, চিকিৎসক এবং শিল্পীদেরকে বাড়ি বাড়ি থেকে খুঁজে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন:

যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদের ভয়ঙ্কর আলবদর গঠনের প্রামাণ্য দলিল

 

Comments