অর্থ পাচারকারী কারা ও কোথায় জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

হাইকোর্ট আজ বাংলাদেশি অর্থ পাচারকারীদের নাম ও তাদের ঠিকানা জানতে চেয়েছেন। বিশেষ করে যারা বিদেশে অর্থ পাচার করে কানাডা, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় বাড়ি কিনেছেন। তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্ট আজ বাংলাদেশি অর্থ পাচারকারীদের নাম ও তাদের ঠিকানা জানতে চেয়েছেন। বিশেষ করে যারা বিদেশে অর্থ পাচার করে কানাডা, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় বাড়ি কিনেছেন। তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

এছাড়া, আদালত দুর্নীতি দমন কমিশন ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আলাদা প্রতিবেদন জমা দেওয়ারও নির্দেশনা দিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশনার পাশাপাশি এ বিষয়ে আরও শুনানি ও আদেশ দেওয়ার জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেন।

গত ২২ নভেম্বর হাইকোর্টের একটি স্বপ্রণোদিত রুলের ভার্চুয়াল শুনানিতে আজ এ সব জানান হাইকোর্ট বেঞ্চ।

শুনানি চলাকালে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন আদালতকে বলেন, সরকার অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং তারা যে সব দেশে বাড়ি কিনছে, সেখানকার কূটনৈতিক কার্যালয়ের কাছে এ বিষয়ে তথ্য চেয়েছে।

তথ্যগুলো পেতে সরকারের সময় লাগবে বলে জানান তিনি।

এ সময় দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বেঞ্চে একটি প্রতিবেদন জমা দেন। তিনি আদালতকে বলেন, বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে ক্যাসিনো সম্রাট সেলিম প্রধান, ইসমাইল হোসেন সম্রাট ও খালেদ মাহমুদসহ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুদক মামলা করেছে।

তাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো বিচারাধীন বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, পারস্পরিক সহায়তা আইনের মাধ্যমে দুদক ও সরকার বিদেশ থেকে পাচারকৃত প্রায় ৭০ কোটি টাকা ফিরিয়ে এনেছে।

এছাড়া, দুর্নীতির অভিযোগে বিএনপির সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও এম মোর্শেদ খান এবং ব্যবসায়ী মোসাদ্দেক আলী ফালু ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

এর আগে, গত ২২ নভেম্বর বেঞ্চ বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধের আদেশ জারি করেন এবং গোয়েন্দা সংস্থাকে অর্থ পাচার বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

Comments