অভিষিক্ত ডাফির বোলিং তোপে পাকিস্তানকে হারালো নিউজিল্যান্ড
অভিষেকেই অসাধারণ বোলিং করলেন জ্যাকব ডাফি। তার বোলিং তোপে মাঝারী ধরণের পুঁজি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় পাকিস্তানকে। পরে টিম সেইফার্টের দায়িত্বশীল ব্যাটিং। দুইয়ে মিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিতিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয় তুলে নিতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি নিউজিল্যান্ডকে। ৫ উইকেটের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
শুক্রবার ইডেন পার্কে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৫৩ রান সংগ্রহ করে সফরকারি পাকিস্তান। জবাবে ৭ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ড।
লক্ষ্য তাড়ায় অবশ্য শুরুটা ভালো ছিল না নিউজিল্যান্ডের। দলীয় ২১ রানেই দুটি উইকেট হারিয়ে চাপে পরে দলটি। তবে গ্লেন ফিলিপ্সকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৩৪ রানের জুটিতে সে চাপ সামলে নেন ওপেনার টিম সেইফার্ট। এরপর মার্ক চাপমানের সঙ্গে ৪৫ রানের আরও একটি জুটি গড়ে শাহিন আফ্রিদির বলে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ততোক্ষণে জয়ের ভীত পেয়ে যায় স্বাগতিকরা।
এরপর চাপমান আউট হলেও অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার ও জেমস নিশামের ব্যাটে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় দলটি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন সেইফার্ট। ৪৩ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া চাপমান ও ফিলিপ্সের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ৩৪ ও ২৩ রান। পাকিস্তানের পক্ষে ২৯ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান হারিস রৌফ। ২টি উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি।
এর আগে এদিন দলীয় ৮ রানে ভাঙে পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি। এরপর দলীয় ২০ রানে টানা তিন বলে তিন উইকেটের পতন। স্কোরবোর্ডে আর ১৯ রান যোগ করতে গেলো আরও একটি। দলীয় ৩৯ রানেই শেষ টপ অর্ডারের পাঁচ উইকেট। দল তো তখনই হার দেখা শুরু করে। এরপর অধিনায়ক শাদাব খান ও ফাহিম আশরাফ কিছুটা দায়িত্ব নিতে পারলে পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ১৫৩ রান।
এদিন টসটা জিতেছিল পাকিস্তানই। বেছে নেয় ব্যাটিং। কিন্তু শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দলটি। অধিনায়ক সাদাবই ধারার বিপরীতে ব্যাট করেছেন। পরিচয়টা বোলিং অলরাউন্ডার হলেও ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩২ বলে করেন ৪২। তার মতো ২টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরেছেন ফাহিম। তবে ১৮ বলে ৩১ রান করেন তিনি। এছাড়া ইমাদ ওয়াসিমের ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান।
মূলত এদিন অভিষিক্ত জ্যাকব ডাফির তোপেই ধ্বসে পড়ে পাকিস্তান। কিউই জার্সিতে প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমেই নিজের জাত চিনিয়েছেন। তুলে নিয়েছেন মূল্যবান চারটি উইকেট। দুই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আব্দুল্লাহ শফিক ছাড়াও মোহাম্মদ আফজ ও অধিনায়ক শাদাবকে শিকার করেন তিনি। আরেক স্কট কুগেলিনও কম যাননি। তার শিকারও তিনটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৫৩/৯ (রিজওয়ান ১৭, শফিক ০, হায়দার ৩, হাফিজ ০, শাদাব ৪২, খুশদিল ১৬, ইমাদ ১৯, ফাহিম ৩১, ওয়াহাব ৯, শাহিন ১০*, হারিস ০*; স্যান্টনার ০/১৮, ডাফি ৪/৩৩, কুগেলিন ৩/২৭, শোধি ১/৩৭, টিকনার ১/৩৫)।
নিউজিল্যান্ড: ১৮.৫ ওভার ১৫৬/৫ (গাপটিল ৬, সেইফার্ট ৫৭, কনওয়ে ৫, ফিলিপ্স ২৩, চাপমান ৩৪, নিশাম ১৫*, স্যান্টনার ১২*; আফ্রিদি ২/২৭, ইমাদ ০/১৪, হারিস ৩/২৯, ফাহিম ০/১৮, ওয়াহাব ০/৪৫, শাদাব ০/২২)।
ফলাফল: নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: জ্যাকব ডাফি (নিউজিল্যান্ড)।
Comments