মাহমুদউল্লাহর শেষের ঝড়ে লড়াইয়ের পুঁজি পেল খুলনা

ক্যাপ্টেনস নক খেলে মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৪৮ বলে ৭০ রানে।
Mahmudullah
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

অষ্টম ওভারে ব্যক্তিগত ৮ রানে রিভিউ নিয়ে জীবন পেলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে পাঁচে নেমে ব্যাটিং করলেন ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। চাপের মুখে একপ্রান্ত আগলে প্রতিরোধ গড়লেন। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে নিজের প্রথম হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে একদম শেষে তুললেন ঝড়। তার কল্যাণে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের নাহিদুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমানের তোপ সামলে লড়াইয়ের পুঁজি পেল জেমকন খুলনা।

শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ফাইনালে টস জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান চট্টগ্রামের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। নির্ধারিত ২০ ওভারে দলটি ৭ উইকেটে তুলেছে ১৫৫ রান।

ক্যাপ্টেনস নক খেলে মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৪৮ বলে ৭০ রানে। তার ইনিংসে ছিল ৮ চার ও ২ ছক্কা। সৌম্য সরকারের শেষ ওভারে ছয়গুলো মারেন তিনি। ওই ওভারে আসে ১৭ রান। ফলে খুলনার স্কোর পেরিয়ে যায় দেড়শো।

প্রথম বলেই প্রতিপক্ষের ইনিংসে আঘাত করেন নাহিদুল। উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক সংযোগ করতে পারেননি জহুরুল ইসলাম। মিড অফ থেকে পেছনের দিকে দৌড়ে ক্যাচ নেন মোসাদ্দেক হোসেন।

নিজের পরের ওভারে তিনে নামা ইমরুল কায়েসকেও দ্রুত বিদায় করেন অফ স্পিনার নাহিদুল। তিনিও টাইমিংয়ের গড়বড়ে ফেরেন সাজঘরে। খুলনাকে আরও চেপে ধরে সুযোগ এরপর হাতছাড়া করে চট্টগ্রাম। চতুর্থ ওভারে ওপেনার জাকির হোসেনের কঠিন ক্যাচ ডাইভ দিয়েও হাতে জমাতে পারেননি দলটির অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন।

পাওয়ার প্লের বাকি সময়টা নির্বিঘ্নে পার করেন জাকির ও আরিফুল হক। ৬ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৪২ রান।

সপ্তম ওভারে আক্রমণে গিয়েই উইকেট উৎসবে যোগ দেন মোসাদ্দেক। ১২ রানে জীবন পাওয়া জাকিরকে বদলি ফিল্ডার মাহমুদুল হাসান জয়ের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। ২০ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে তিনি করেন ২৫ রান।

৪৩ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে বিপাকে পড়া খুলনার ইনিংস মেরামতের কাজে লাগেন আরিফুল ও মাহমুদউল্লাহ। সিঙ্গেল-ডাবলস নিয়ে এগোতে থাকেন তারা। মাহমুদউল্লাহ হাত খোলেন একাদশ ওভারে। মোসাদ্দেককে টানা মারেন ছয় ও চার।

৩২ বলে ৪০ রানের এই জুটি ভাঙেন দ্বিতীয় স্পেলে ফেরা বাঁহাতি পেসার শরিফুল। ধীরগতির ব্যাটিংয়ে ২৩ বলে ২১ রান করে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের তালুবন্দি হন আরিফুল। লোয়ার অর্ডার থেকে উঠিয়ে তাকে চারে নামানোর বাজি তাই ফলেনি।

খুলনার স্কোর তিন অঙ্কে পৌঁছায় ১৪তম ওভারের শেষ বলে। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে বল মোস্তাফিজের ডেলিভারি সীমানাছাড়া করেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলনেতা মাহমুদউল্লাহ।

হাতে রয়েছে উইকেট। ঝড় তোলার উপযুক্ত পরিস্থিতি। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে যার অনেক আগ্রাসী ইনিংস আছে, সেই শুভাগত হোম করেন হতাশ। ১২ বলে ১৫ রান করে আউট হন তিনি। শরিফুলের শর্ট ডেলিভারিতে টপ এজ হয়ে আকাশে উঠে যাওয়া বল লং লেগে লুফে নেন মোস্তাফিজ। 

শামিম পাটোয়ারি ভুল বোঝাবুঝিতে প্রথম বলেই হন রানআউট। এরপর মাশরাফি বিন মর্তুজাকে ফিরিয়ে আসরে খেলা ১০ ম্যাচের সবকটিতে উইকেট পাওয়ার রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রাখেন মোস্তাফিজ। সবমিলিয়ে এই বাঁহাতি গতি তারকার শিকার টি-টোয়েন্টি কাপের সর্বোচ্চ ২২ উইকেট।

মাহমুদউল্লাহর আগ্রাসনে শেষ ৩ ওভারে ৩৫ রান তোলে খুলনা। চট্টগ্রামের হয়ে নাহিদুল ১৯ ও শরিফুল ৩৩ রানে নেন ২ উইকেট। মোস্তাফিজ ২৪ রানে পান ১ উইকেট। খরুচে মোসাদ্দেকের শিকারও ১ উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

জেমকন খুলনা: ২০ ওভারে ১৫৫/৭ (জহুরুল ০,জাকির ২৫, ইমরুল ৮, আরিফুল ২১, মাহমুদউল্লাহ ৭০*, শুভাগত ১৫, শামিম ০, মাশরাফি ৫, শহিদুল ১*; নাহিদুল ২/১৯, শরিফুল ২/৩৩, রাকিবুল ০/১৯, মোসাদ্দেক ১/২০, মোস্তাফিজ ১/২৪, সৌম্য ০/৩৯)।

Comments

The Daily Star  | English
government changed office hours

Govt office hours 9am-3pm from Sunday to Tuesday

The government offices will be open from 9:00am to 3:00pm for the next three days -- from Sunday to Tuesday -- this week, Public Administration Minister Farhad Hossain said today

1h ago