আমরা সবাই শহিদুলের বাবার জন্য খেলেছি: মাশরাফি
প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচের আগেই প্রচণ্ড শোকের খবরটি পান জেমকন খুলনার পেসার শহিদুল ইসলাম। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে জৈব সুরক্ষা বলয় ছেড়ে তাকে চলে যেতে হয় নারায়ণগঞ্জের বাড়িতে। ফাইনালে সেই শহিদুলকে নিয়েই নেমেছিল খুলনা। শিরোপার লড়াইয়ে ভাগ্য গড়ে দেওয়া শেষ ওভারটিও করলেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় মাশরাফি বিন মর্তুজা বললেন, তারা খেলেছেন শহিদুলের বাবার জন্যই।
শুক্রবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে ৫ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় খুলনা। তাতে কার্যকর ভূমিকা রাখেন পেসার শহিদুল। অথচ ম্যাচটিতে তিনি নেমেছিলেন প্রিয় বাবা হারানোর শোক বুকে পুষে।
৪ ওভার বল করে ৩৩ রানে শহিদুল নেন ২ উইকেট। শেষ ওভারে ১৬ রান দরকার হলেও তার কাছ থেকে তা নিতে পারেনি চট্টগ্রাম। উল্টো তিনি মোসাদ্দেক হোসেন আর সৈকত আলিকে পরপর দুই বলে আউট করে দলকে জেতান।
করোনাভাইরাসের কারণে এবার টুর্নামেন্ট হচ্ছে বিশেষ নিয়ম মেনে। বাবার মৃত্যুতে হোটেল ছাড়ার পর শহিদুল চলে গিয়েছিলেন বলয়ের বাইরে। ব্যক্তিগত শোক সামলে পরে সিদ্ধান্ত নেন ফাইনাল খেলার। তবে চাইলেই দ্রুত দলে যোগ দিতে পারতেন না। হোটেলে এসে তাকে আইসোলেশনে থাকতে হয়েছে। করোনাভাইরাস পরীক্ষায় ফের নেগেটিভ হতে হয়েছে।
শিরোপা জিতে খুলনার সবচেয়ে অভিজ্ঞ তারকা মাশরাফি জানান, আগেই তারা ঠিক করে ফেলেছিলেন সিদ্ধান্ত, ‘আমরা সবাই শহিদুলের বাবার জন্য খেলেছি। পাঁচ দিন আগে মারা গেছেন তিনি। আমাদের অধিনায়ক (মাহমুদউল্লাহ) বলেছে যে, আমরা শহিদুলের জন্য খেলব। বাবা মারা যাওয়ার কারণে সে বাড়িতে গিয়েছিল এবং হোটেলে গত তিন দিন কোয়ারেন্টিনে ছিল। সে পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়ে ম্যাচ খেলেছে। আমরা শুধু তার জন্য খেলেছি। আল্লাহকে ধন্যবাদ, আমরা তার জন্য জয় এনে দিতে পেরেছি।’
২৫ বছরের ডানহাতি পেসার শহিদুল টি-টোয়েন্টি কাপে খুলনার হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের কৃতিত্ব দেখান। সবমিলিয়ে তিনি হয়েছেন আসরের পঞ্চম সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। ৮ ম্যাচে ১৩.৬৬ গড়ে তিনি পেয়েছেন ১৫ উইকেট।
Comments