টোলের ১ শতাংশ পুনর্বাসন সাইটে ব্যয়ের প্রস্তাব দেবে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ

পদ্মা সেতু নির্মাণে শত শত বছরের পুরনো ভিটেমাটি ত্যাগ করেছেন পদ্মাপাড়ের মানুষজন। আর এজন্য নানা ত্যাগ ও কষ্ট হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন তারা। সরকার এসব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য পুনর্বাসন সাইটে ঘরবাড়ি, স্কুল, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রসহ নানা সুবিধা দিয়ে থাকার ব্যবস্থা করেছেন। সেতু চালু হলে অর্জিত টোলের এক শতাংশ পুনর্বাসন সাইটের উন্নয়নে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় করতে সরকারকে প্রস্তাব দেবে সেতু কর্তৃপক্ষ।
মুন্সিগঞ্জের কুমারভোগ পুনর্বাসন সাইটের প্রবেশ পথ। ছবি: স্টার

পদ্মা সেতু নির্মাণে শত শত বছরের পুরনো ভিটেমাটি ত্যাগ করেছেন পদ্মাপাড়ের মানুষজন। আর এজন্য নানা ত্যাগ ও কষ্ট হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন তারা। সরকার এসব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য পুনর্বাসন সাইটে ঘরবাড়ি, স্কুল, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রসহ নানা সুবিধা দিয়ে থাকার ব্যবস্থা করেছেন। সেতু চালু হলে অর্জিত টোলের এক শতাংশ পুনর্বাসন সাইটের উন্নয়নে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় করতে সরকারকে প্রস্তাব দেবে সেতু কর্তৃপক্ষ।

আজ শনিবার পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ রজব আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ রজব আলী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর টোলের এক শতাংশ পুনর্বাসন সাইটের স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় করতে সরকারকে একটি প্রস্তাব দেওয়া হবে। যা কোনো ব্যক্তির জন্য নয়। ইতোমধ্যে বিভিন্ন পুনর্বাসন সাইটের বাসিন্দাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাবলম্বী করার কার্যক্রম চলছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়ে গেলে টোলসহ বিভিন্ন সেক্টরে তারা কাজ করার সুযোগ পেতে পারে।’

পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে পুনর্বাসন সাইট আছে। যেখানে সরকার সেতু নির্মাণের জন্য থাকার ব্যবস্থা করেছেন। পুনর্বাসন সাইটে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৮১৫টি। ক্ষতিগ্রস্তদের জীবিকা পুনরুদ্ধারের জন্য যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে হাস- মুরগি, গরু -ছাগল পালন, সেলাই মেশিন প্রশিক্ষণ এবং ড্রাইভিং শেখানো কার্যক্রম চলমান আছে।

মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কুমারভোগ পুনর্বাসন সাইটের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সেতুর জন্য আমরা অনেক কষ্ট মেনে নিয়েছি। এখন টোলের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ আমাদের উন্নয়নে ব্যয় হবে এজন্য আমরা খুশি। সেতু কর্তৃপক্ষ এখনো আমাদের কথা ভাবছে। পুনর্বাসন সাইটে যেসব সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে তা পেয়ে আমরা খুব উপকৃত হচ্ছি।’

পুর্ববাসন সাইটের দোকানদার আওলাদ হোসেন বলেন, ‘পুনর্বাসন সাইটের বাসিন্দারা এখন কাজের পিছনে ছুটছেন। করোনাকালে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। টোলের একটি অংশ যদি আমাদের কর্মসংস্থানের উন্নয়নে ব্যয় হয়, তাহলে এখানকার সবার জন্য ভালো হবে।’

আরেক বাসিন্দা কুলসুম আক্তার বলেন, ‘ব্যক্তি স্বার্থের কথা বিবেচনা করলে ভালো নেই। সরকার এ অঞ্চলের মানুষের জন্য কর্মসংস্থানে সুযোগ করে দেবে, আমরা সেই অপেক্ষায় আছি। আমরা চাইবো আমাদের জন্য স্থায়ী একটি কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। এজন্য টোলের একটি অংশ ব্যয় করা যেতে পারে।’

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago