ইসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ: 'সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল' গঠনের আহ্বান ৪২ নাগরিকের
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) এর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ সংশ্লিষ্ট অসদাচরণের অভিযোগ তদন্তে রাষ্ট্রপতিকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল (এসজেসি) গঠনের আবেদন জানিয়েছেন দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের অধীনে এসজেসি গঠনের জন্য গত ১৪ ডিসেম্বর সম্মিলিতভাবে তারা রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে দেওয়া একটি চিঠিতে এই আবেদন জানান।
এতে বলা হয়, সংবিধানের ৯৬ (৩) অনুচ্ছেদে উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের বিধান রয়েছে।
আবেদনকারীরা জানান, ১১৮ অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশন গঠনের বিধান রয়েছে। তবে ১১৮ (৫) অনুচ্ছেদে “সুপ্রিম কোর্টের বিচারক যেরূপ পদ্ধতি ও কারণে অপসারিত হইতে পারেন, সেইরূপ পদ্ধতি ও কারণ ব্যতীত কোন নির্বাচন কমিশনার অপসারিত হইবেন না।”
রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ইসি'র বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও অনিয়মের অভিযোগ আছে। 'বিশেষ বক্তা' হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার নামে ২ কোটি টাকা, ইসিতে কর্মী নিয়োগে ৪ কোটি আট লাখ টাকা এবং নিয়মবহিভূতভাবে তিন কমিশনারের তিনটি গাড়ি ব্যবহারজনিত আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আছে।
আবেদনকারীরা চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের জন্য ইভিএম কেনা ও ব্যবহারে গুরুতর অনিয়ম এবং খুলনা, গাজীপুর, সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ আছে কে এম নুরুল হুমার বিরুদ্ধে।
তারা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো চিঠিতে ইসির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগের বিস্তারিত বিবরণ যুক্ত করেন।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারী নাগরিকরা আজ শনিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে আছেন, ড. শাহদিন মালিক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, এম হাফিজউদ্দিন খান, ড. আকবর আলী খান, অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, আলী ইমাম মজুমদার, ড. হামিদা হোসেন, অধ্যাপক মইনুল ইসলাম, খুশি কবির, ড. বদিউল আলম মজুমদার, শহিদুল আলম, ড. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, ড. সি আর আবরার, অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, দিলীপ সরকার ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
Comments