সূর্যের দেখা নেই আজও, তীব্র শীতে ঘরবন্দি কুড়িগ্রামের চরবাসী

Kurigram_Foggy_Weather_20De.jpg
শীতের তীব্রতা বাড়ায় ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। ছবি: স্টার

শীতের তীব্রতা বাড়ায় ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। গরম পোশাক না থাকায় কাজের সন্ধানে বের হতে পারছেন না তারা। সময় গড়িয়ে দুপুর হতে চললেও দেখা নেই সূর্যের। কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে চারদিক। দিনেও যানবাহন চলছে হেড লাইট জ্বালিয়ে।

আজ রোববার দেশের সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়া ও রাজারহাটে সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, রংপুর বিভাগ এবং গোপালগঞ্জ, সীতাকুণ্ড, ফেনী, শ্রীমঙ্গল, পাবনা, বদলগাছী, যশোর, কুমারখালী, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল ও ভোলা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা এই অবস্থা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শীতের তীব্রতা বাড়ায় খেতে যেতে পারছেন না চাষিরা। মাঠে ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। বিপাকে পড়েছেন দিনমজুররাও। লালমনিরহাট শহরের রেফিউজি কলোনির বাসিন্দা রিকশাচালক মজিদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘হঠাৎ ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় ফুটপাতের দোকানিরা পুরানো কাপড়ের অতিরিক্ত দাম হাঁকছেন। আগুন জ্বালিয়ে যতটুকু শীত নিবারণ করা যায়।’

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের রেকর্ড কিপার সুবল চন্দ্র রায় বলেন, ‘গত তিন দিন ধরে লালমনিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছয় দশমিক ছয় থেকে সাত দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠা-নামা করছে।’

চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের দুর্ভোগের বিষয়ে জানতে চাইলে লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন বলেন, ‘চরাঞ্চলের মানুষজন ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছেন। সাধ্যমতো তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।’

লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উত্তম কুমার রায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মাধ্যমে চরাঞ্চলের শীতার্ত মানুষের খোঁজ রাখা হচ্ছে। প্রয়োজন অনুযায়ী এসব শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে।’

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

3h ago