৯৯ হাফিজের, ৬৪ বাকিদের, সাউদি-সেইফার্টে সিরিজ নিউজিল্যান্ডের
ছোট মাঠ, বল ব্যাটে আসে ভালো গতিতে। ম্যাচ জিততে তাই দরকার বিশাল পুঁজি। কিন্তু পাকিস্তানের ইনিংস ধুকল টিম সাউদির পেসে। তাদের হয়ে ত্রিশের বেশি রান করলেন কেবল একজন। সেই একজন ‘বুড়ো’ মোহাম্মদ হাফিজ অপরাজিত থাকলেন ৫৭ বলে ৯৯ রানে। বাকি সবার কাছ থেকে এলো আর কেবল ৬৪। মাঝারি পূঁজিতে তাই টিম সেইফার্টের তাণ্ডবে পাত্তা পেল না পাকিস্তান।
রোববার হ্যামিল্টনে আগে ব্যাট করে টিম সাউদির তোপে ৬ উইকেটে ১৬৩ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড। সেইফার্ট ঝড়ে ৪ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটে জিতেছে নিউজিল্যান্ড। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটি জিতেই নিশ্চিত করেছে সিরিজও।
দলকে জিতিয়ে সেইফার্ট অপরাজিত থাকেন ৬৩ বলে ৮৪ রানে। অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন অপরাজিত ছিলেন ৪২ বলে ৫৭ করে। তবে বোলিংয়ে ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন সাউদি।
১৬৪ রান তাড়ায় ঝড়ো শুরু পায় স্বাগতিকরা। মার্টিন গাপটিল-সেইফার্ট মিলে পেটাতে থাকেন চার-ছয়। ওভারপ্রতি ১০ করে রান নিতে থাকেন তারা। ফাহিম আশরা এসে থামান গাপটিলকে। তার বলে ক্যাচ দেওয়ার ১১ বলে ২১ করে যান গপটিল।
এরপর আর কোন বিপর্যয় নয়। অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনের সঙ্গে মিলে উত্তাল হয়ে উঠে সেইফার্টের ব্যাট। অনায়াসে বেরুতে থাকে রান। ওয়াহাব রিয়াজ, শাহীন আফ্রিদি, হারিস রউফরা হয়ে যান মামুলি বোলার। স্রোতের বিপরীতে কেবল ভাল বল করেছেন লেগ স্পিনার ও ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শাদাব খান। ৪ ওভারে ২৪ রান দেন তিনি।
তবে উইলিয়ামসন-সেইফার্ট তা মোটেও অস্থিরতায় ভুগেননি। পুরো ম্যাচ এক মুহূর্তের জন্যও তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। ৮৪ রানের ইনিংসে ৮ চার, ৩ ছক্কা মারেন সেইফার্ট। ৫৭ রানের ইনিংসেও উইলিয়ামসনের চারও ৮টি, তার ব্যাট থেকে আসে ১ ছক্কা।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে গিয়ে পাকিস্তানের শুরুটা চরম বিপর্যয়ে। সাউদির তোপে হায়দার আলি, আব্দুল্লাহ শফিকরা কাটা পড়েন শুরুতে। অনেকটা সময় নিয়ে থিতু হয়েছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু ক্যারি করতে পারেননি। শাদাব নিজে পাঁচে উঠেও পরিস্থিতি বদলাতে পারেননি। এক প্রান্তে একা লড়ে যান হাফিজ। বাকি সকলের মলিন দিনে উজ্জ্বল হয়ে উঠে ৪১ পেরুনো এই অভিজ্ঞ তারকার ব্যাট।
পাকিস্তান খেলায় থাকে তার ব্যাটে। ইমাদ ওয়াসিমকে এক পাশে রেখে শেষ দিকে দেড়শো পার করে দলকে নিয়ে যান আরও দূর। ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা মেরে ৯৯ রানে পৌঁছেছিলেন তিনি। দলের ৬০ শতাংশের বেশি রান করার পরও ম্যাচ শেষে মলিন মুখেই মাঠ ছাড়তে হলো তাকে।
Comments