অস্ট্রেলিয়ায় রান বের করতে শচীনের মন্ত্র

শচীন জানালেন, অজি পেসারদের সামলাতে কেবল রক্ষণাত্মক কৌশল কাজে দেবে না
sachin tendulkar
ছবি: এএফপি

মাত্র ১৮ বছর বয়েসে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। ক্রেগ ম্যাকডরমট, মার্ভ হিউজ, মাইক হুইটনিদের মতো পেসারদের তোপের মুখে দাঁড়িয়ে সিরিজে করেছিলেন দুই সেঞ্চুরি। মাস্টার ব্যাটসম্যান শচীনের উত্তরসুরিরা অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে এবার ৩৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার চূড়ান্ত বিব্রতিকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন। তা থেকে উত্তরণে পরামর্শ দিলেন শচীনও।

১৯৮৯ সালে পাকিস্তান সফর দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক শচীনের। নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ডে কঠিন সফরের পর ১৯৯১ সালে খেলতে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। তখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নবীন শচীন সেই কঠিন পরিস্থিতি কীভাবে সামলেছিলেন তা জানিয়েছেন নিজের  ইউটিউবে এক আলোচনায়, ‘১৯৮৭-৮৮ সালে আমি বলবয় ছিলাম। পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ডের পর ক্যারিয়ারের চতুর্থ সফরে ১৯৯১-৯২ সালে যাই অস্ট্রেলিয়ায়।। দুর্দান্ত পেস আক্রমণ ছিল তাদের। যাদের নামশুনে, খেলা দেখে বড় হয়েছিলাম। জানতাম আমাকে আউট করার জন্য ওরা কী করতে পারে। আমি সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম।’

বাড়তি বাউন্স, গতি আর স্যুইং। এই তিনেই কাবু হয়েছিল বিরাট কোহলির ভারত। প্রথম ইনিংসে কোহলির নৈপুণ্যে এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে হয় ভয়াবহ বিপর্যয়। প্যাট কামিন্স আর জশ হ্যাজেলউড নাচিয়ে ছাড়েন তাদের।

তবে শচীন জানালেন, অজি পেসারদের সামলাতে কেবল রক্ষণাত্মক কৌশল কাজে দেবে না,  ‘সকলে ভাবে অস্ট্রেলিয়ার উইকেটে পেস আর বাউন্স অনেক। মাথায় রাখা জরুরী এই বাউন্স পেতে কিন্তু একটা নির্দিষ্ট জায়গায় বল ফেলতে হয়। কাজটা বোলারদের জন্য সোজা না। ব্যাটসম্যানরা যদি ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে নামে। কেবল রক্ষণাত্মক নয়, আক্রমণাত্মক খেলে তাহলে সুযোগ বাড়বে।’

‘শুরুতে আমিও বলগুলো নামানোর চেষ্টা করতাম। পরে বলে হলো বলের উপরে কেন যাব। টেস্টে তো থার্ডম্যান থাকে না, তাই বলের নিচে গিয়ে গতিটাকে কাজে লাগাই। ওদিক দিয়ে চারটা রান পাওয়া যাবে। আর বোলাররা একটু ভুল করলে স্লিপ-গালির উপর দিয়ে রান বের করতে পারব। টাইমিংয়ে ঘাটতি থাকলেও ওদের বলের গতির জন্যই চার হয়ে যেত।’

২৬ ডিসেম্বর মেলবোর্নে  কোহলিকে ছাড়া দ্বিতীয় টেস্টে নামবে ভারত।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago