বড়লেখা পৌর নির্বাচন: ইভিএম নিয়ে শঙ্কা ভোটারদের
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গতকাল রোববার বড়লেখা পৌরসভার মুড়িরগুল, অজমির, হিনাইনগরে অনেকের সঙ্গে কথা হয়, যারা বলছেন কেমন করে এটি ব্যবহার করে ভোট দিতে হয় তাই তারা জানেন না।
পানিধার গ্রামের কবির মিয়া বলেন, 'ইভিএম নিয়ে আমার কোন ধারনা নেই। তবে আগের নিয়ম থাকলেই ভালো হতো।'
মুড়িরগুল গ্রামের সুলতান আহমেদ জানান, 'নতুন পদ্ধতিতে কেমন করে ভোট হবে, সেটা আমি জানি না। জানিনা কীভাবে ভোট দেব। এলাকার মানুষজন মনে করে, ভোট কারচুপি হবে এজন্য ইভিএমের ব্যবস্থা করা হয়েছে।'
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, 'ইভিএম নিয়ে জেলা প্রশাসক বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে আমি বলেছি, নয়টা ওয়ার্ডের অর্ধেক লোকই অশিক্ষিত। আমরা যারা সমাজ সচেতন, তারাই ইভিএম বিষয়ে কিছুই জানি না। জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন ভোটের চার দিন আগে নাকি টেস্ট হবে।'
তবে ইভিএমে আশাবাদী আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ইভিএম একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। তবে, এর সুফল পাওয়ার জন্য প্রচারণা খুব দরকার।’
প্রথম ধাপে আগামী ২৮ ডিসেম্বর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে বড়লেখা পৌরসভার ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বড়লেখা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান। ইভিএমে কোনো রকম দুর্নীতি করার কোন সুযোগ নেই। এখানে শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে ভোট হয় বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, 'বড়লেখা পৌরসভার নয়টি সাধারণ ও তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ভোট নেওয়ার জন্যে ১০টি ভোটকেন্দ্র এবং ৪৩টি ভোটকক্ষ আছে। বড়লেখা পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে ভোটার ১৫ হাজার ৪৪৩ জন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সিলেট বিভাগীয় কমিটির আহবায়ক ফারুক মাহমুদ চৌধুরী মনে আওয়ামী লীগের সবাইকে পাস করানোর জন্যই এসব আয়োজন।
'শহরের মানুষই ইভিএমে ভোট ঠিকমতো দিতে পারছে না। এজন্য ভোটাররা কেন্দ্রে যায়নি। এখন আবার গ্রামে সেটি প্রয়োগ করা হচ্ছে। আমরা এখানে স্বচ্ছতার কিছুই দেখছি না। কারণ, ইভিএম ঠিকমতো পরিচালনা করতে পারবে না কর্মকর্তারা,' বলেন তিনি।
Comments