কক্সবাজার জেলা পরিষদ বাংলো থেকে অফিস সহায়কের মরদেহ উদ্ধার

কক্সবাজার জেলা পরিষদের ডাক বাংলো থেকে অফিস সহায়ক আয়ুব আলীর (৩৭) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার বিকেল চারটার দিকে জেলা পরিষদ ভবন সংলগ্ন বাংলোর ১৯ নং কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আয়ুব আলী চকরিয়া উপজেলার হরিয়াঘোনা এলাকার সৈয়দ হোসেনের ছেলে। তিনি জেলা পরিষদ বাংলোর কেয়ারটেকার ছিলেন। পরবর্তীতে তাকে বদলি করে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের অফিস সহায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় বলে জানান জেলা পরিষদের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান।
ডাক বাংলোর কেয়ারটেকার জাফর আলম বলেন, ‘দুপুর ১টার দিকে আমার কাছ থেকে চাবি নিয়ে কক্ষে যান আয়ুব আলী। কিছুক্ষণ পর আমি উপরে গিয়ে দরজা খোলা দেখে ভেতরে ঢুকে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাই।’
আয়ুব আলীর স্ত্রী কক্সবাজার জজ আদালতের অফিস সহায়ক মমতাজ বেগম জানান, তার স্বামী গতরাতে শহরের বাহারছড়ার বাসায় ছিলেন। সেখান থেকেই তিনি অফিসে যান।
তিনি বলেন, ‘দুপুর ২টার দিকে ডাক বাংলোর স্টাফ জাফর আমাকে ফোন করে বলেন রেজাউল করিম আমাকে ডেকেছেন। পৌনে ৪টার দিকে বাংলোর ১৯ নম্বর কক্ষে গিয়ে আমার স্বামীর মরদেহ দেখতে পাই।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘দিনে-দুপুরে একটা মানুষ কী করে আত্মহত্যা করতে পারে। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।’
স্বামী হত্যার বিচার দাবি করেন মমতাজ বেগম।
ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন জেলা পরিষদের অফিস সহকারী রেজাউল করিম। তার ব্যক্তিগত মুঠোফোনটিও বন্ধ রয়েছে। কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সড়কে জেলা পরিষদের কর্মচারী নিবাসে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া মরদেহটি উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি ময়নাতদন্তের জন্য। তবে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
Comments