বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা-ফেনী-সোনাইমুড়ী আঞ্চলিক মহাসড়ক

তীব্র যানজটে দুর্ভোগে মানুষ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী চৌরাস্তা-ফেনী ও সোনাইমুড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের চৌমুহনী বাজার এলাকায় গত কয়েক মাস থেকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এ যানজট। ফলে কর্মমুখী মানুষ, রোগী ও সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন।
ছবি: স্টার

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী চৌরাস্তা-ফেনী ও সোনাইমুড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের চৌমুহনী বাজার এলাকায় গত কয়েক মাস থেকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এ যানজট। ফলে কর্মমুখী মানুষ, রোগী ও সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন।

সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলমান এ যানজটের ফলে বাংলাদেশের তৃতীয় বাণিজ্যিক শহর হিসেবে খ্যাত চৌমুহনীর ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও নাগরিক জীবনে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এ যানজট নিরসনে স্থানীয় ট্রাফিক পুলিশের কার্যকরী কোনো ভূমিকা না থাকায় মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়ছে।

বিষয়টি নিয়ে বেগমগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমি নিজেই দিনের বেশির ভাগ সময় সড়কে অবস্থান করি। বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌরাস্তার থেকে সোনাইমুড়ী ও সোনাপুর সড়ক নির্মাণ কাজ চলছে। তাই চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়কের এক পাশে নির্মাণ কাজ চলার কারণে সড়কের পরিবহন চলাচলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।’

ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশ সার্বক্ষণিক যানজট নিরসনে কাজ করছে। বিভিন্ন কারণে এই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যে সড়কের ওপর মাত্রাতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, গাড়ি চালকদের মধ্যে পরস্পরকে অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতা, অনিয়ন্ত্রিত ও উল্টোপথে গাড়ি চালানো, সড়কের দুই পাশে ব্যবসায়ীদের পণ্যবাহী ট্রাক থেকে মাল লোড আন লোড করা, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটো রিকশার অবৈধ পার্কিং প্রয়োজনের অতিরিক্ত রোড গ্যাপ ও সড়ক প্রয়োজনের চেয়ে সরু হওয়ার কারণেই এই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে, এ যানজট খুব শিগগির নিরসন হবে বলে আমি আশাবাদী।’

কাপড় ব্যবসায়ী নেয়ামত উল্লাহ বলেন, ‘কুমিল্লা থেকে মাইজদী পৌছাতে প্রায় ২ ঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু, সম্প্রতি সময়ে চৌমুহনী চৌরাস্তায় এসে দীর্ঘ এক দেড় ঘণ্টা তীব্র শীতের মধ্যে জ্যামে আটকা পড়েন।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

13h ago