বরিশালে ড্রামে নারীর মরদেহ: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

বরিশালের গৌরনদীতে ড্রাম থেকে গৃহবধূ সাবিনা বেগমের (৩০) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

বরিশালের গৌরনদীতে ড্রাম থেকে গৃহবধূ সাবিনা বেগমের (৩০) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

আজ শুক্রবার ভোরে সদর উপজেলার হিজলতলা এলাকা থেকে প্রধান আসামি আবদুল খালেককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে রুপাতলীর পিবিআই কার্যালয় থেকে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

মামলা দায়েরের এক মাস চারদিন পর প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো। এর আগে, গত ২২ নভেম্বর আবদুল খালেকের স্ত্রী রহিমা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।

পিবিআই পুলিশ সুপার (এসপি) হুমায়ুন কবির জানান, খালেকের বাড়ি গৌরনদী উপজেলার মাহিলারা এলাকার পশ্চিম বিবির পাড়। তিনি একটি নির্মাণাধীন ভবনের কেয়ারটেকার ছিলেন।

নিহত সাবিনা বেগমের স্বামী শহিদুল ইসলাম কাতার থাকেন। তিনি বিদেশে নেওয়ার কথা বলে খালেকের কাছ থেকে ৫-৬ লাখ টাকা নেন। কিন্তু নিতে না পেরে অল্প কিছু টাকা ফেরত দিলেও বেশ কিছু টাকা বাকী পড়ে যায়। টাকা পরিশোধে গড়িমসি করলে সাবিনা ঢাকা থেকে শ্বশুরবাড়ি গৌরনদীতে এলে তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেন খালেক। তারপরে তাকে গলায় রশি বেধে হত্যা করেন। পরে মরদেহ ড্রামে ভরে বাসের ছাদে তুলে দেন। ভূরঘাট বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলে তিনি ভ্যান আনার কথা বলে বাস থেকে নেমে পড়েন। এরপর দেড় ঘণ্টায় তিনি ভ্যান নিয়ে না আসায় স্থানীয়দের উপস্থিতিতে ড্রামের মুখ খুলে ভেতরে বোরকা পরিহিত নারীর মরদেহ দেখতে পান বাস শ্রমিকরা।

এই ঘটনায় এস আই আবদুল হক বাদী হয়ে গৌরনদী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

6h ago