শায়েস্তাগঞ্জ পৌর নির্বাচন: ৫ বছরে মেয়র প্রার্থীর সম্পদ বেড়ে ২০ গুণ

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভায় গত পাঁচ বছর মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন মো. ছালেক মিয়া। পাঁচ বছরে তার সম্পদ প্রায় ২০ গুণ বেড়েছে। হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা ছিলেন ছালেক। স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে তিনি রাজনীতিতে যুক্ত হন। এরপর শায়েস্তাগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে মেয়র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন।
Salek_Mia_26Dec20.jpg
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার মেয়র প্রার্থী মো. ছালেক মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভায় গত পাঁচ বছর মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন মো. ছালেক মিয়া। পাঁচ বছরে তার সম্পদ প্রায় ২০ গুণ বেড়েছে। হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা ছিলেন ছালেক। স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে তিনি রাজনীতিতে যুক্ত হন। এরপর শায়েস্তাগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে মেয়র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন।

হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৫ সালে তার বার্ষিক আয় ছিল দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ব্যবসা থেকে দেড় লাখ ও বাড়ি ভাড়া থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা। সে সময় তিনি স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি তিনি দেখাননি। তার কাছে নগদ অর্থ ছিল পাঁচ হাজার সাত শ টাকা। ব্যাংকে সঞ্চিত ছিল ছয় হাজার ৯৭৫ টাকা। তার স্ত্রী সায়েরা হ্যাপীর কাছে ছিল আট হাজার টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণ। হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছিলেন, নির্বাচন বাবদ স্বজনের কাছে দুই লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন।

এবার হলফনামায় ছালেক উল্লেখ করেছেন, তার বার্ষিক আয় ৫২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এর মধ্যে কৃষি ও মৎস্য থেকে ৪০ লাখ পাঁচ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা, বাড়ি ভাড়া থেকে চার লাখ ৪৫ হাজার পাঁচ শ টাকা এবং মেয়র ভাতা চার লাখ ৮০ হাজার টাকা। তার হাতে নগদ আছে তিন লাখ টাকা। ব্যাংকে জমা আছে ২৮ হাজার ৭১৬ টাকা। স্বর্ণ আছে ১০ ভরি। অকৃষি জমি আছে দশমিক তিন হাজার ১৯৬ একর। দালান ও আবাসিক ভবন আছে তিনটি। তিনটি দোকানের মালিক তিনি। স্ত্রীর নামে ব্যাংকে জমা আছে এক লাখ ২১ হাজার ৬৯২ টাকা। স্বর্ণ আছে ৫০ ভরি। এ ছাড়া, বাড়ি নির্মাণে ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন ৪৯ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭ টাকা।

দুটি হলফনামা অনুযায়ী ছালেক মিয়ার আয় বেড়েছে ৫১ লাখ সাড়ে ৭৯ হাজার টাকা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. ছালেক মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ব্যবসা ও বাড়ি ভাড়া থেকে আয় বেড়েছে।

দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় এবার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন তিনি। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় গত ১৫ ডিসেম্বর শায়েস্তাগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago