যমুনায় ‘অপরিকল্পিত’ ড্রেজিংয়ের প্রতিবাদে স্থানীয়দের বিক্ষোভ অব্যাহত

যমুনা নদী খনন প্রকল্পের নামে ড্রেজারের মাধ্যমে ফসলি জমি কাটার প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার চরাঞ্চল গাবসারা ও অর্জুনা ইউনিয়নের কিছু গ্রামের বাসিন্দা।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার চরাঞ্চল গাবসারা ও অর্জুনা ইউনিয়নের কিছু গ্রামের বাসিন্দারা ‘অপরিকল্পিত’ ড্রেজিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন। ছবি: সংগৃহীত

যমুনা নদী খনন প্রকল্পের নামে ড্রেজারের মাধ্যমে ফসলি জমি কাটার প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার চরাঞ্চল গাবসারা ও অর্জুনা ইউনিয়নের কিছু গ্রামের বাসিন্দা।

আজ শনিবার দুপুরে গাবসারা ইউনিয়নের রুলিপাড়া গ্রামে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, যেভাবে অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজিং করা হচ্ছে এতে হাজার হাজার কৃষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কৃষকরা ইতোমধ্যে এসব জমিতে বাদাম, ধান, তরমুজ, কালাই, গমসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ করেছেন। ড্রেজিং করা হলে এসব সম্পত্তি নদীতে চলে যাবে। নদীর পাড়ের ফসলি জমিও ভাঙনের কবলে পড়বে। এভাবে অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজিং করলে চরে মানুষ বসবাস করতে পারবে না। তাই ফসলি জমি রক্ষায় আমরা পরিকল্পিত ড্রেজিং বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।

তারা আরও বলেন, ইতোমধ্যে ফসলি জমির ওপর নিশান লাগিয়ে ড্রেজিংয়ের লাইন চিহ্নিত করা হয়েছে।

চরবাসী ড্রেজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।

তারা আরও উল্লেখ করেন, ড্রেজিংয়ের প্রতিবাদে এলাকায় এবং জেলা শহরে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন গ্রামবাসী। এ ছাড়াও, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।

গাবসারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাক মিয়া, গাবসারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন তালুকদার জিন্নাহ, স্থানীয় বাসিন্দা মনিরুজ্জামান মিন্টু, খন্দকার আসলাম, মো. মহর আলী মণ্ডল, আব্দুস সালাম, খোরশেদ আলম প্রমুখ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গাবসারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ড্রেজিংয়ের বিপক্ষে নয় তারা। তবে ড্রেজিং করতে হবে নদীর প্রবহমান ধারায়, চরবাসীদের জমি এবং ফসল ধ্বংস করে নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রামবাসীর কাছে তাদের জমির মালিকানার স্বপক্ষে বৈধ কাগজপত্র আছে।’

উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলে ভূঞাপুর উপজেলায় যমুনার বাম তীরকে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষার জন্য ২১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নদী ড্রেজিং শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এবং তারা শুরু থেকেই দাবি করে আসছে ড্রেজিং হবে সরকারি জমি তথা নদীর জমিতে।

Comments

The Daily Star  | English
economic challenges for interim government

The steep economic challenges that the interim government faces

It is crucial for the interim government to focus on setting a strong foundation for future changes.

10h ago