শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য ও উপাচার্যের আচরণের মধ্যে বেশ পার্থক্য: অমর্ত্য সেন

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ির সীমানায় বিশ্বভারতীর জমি রয়েছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অমর্ত্য সেন। ছবি: সংগৃহীত

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ির সীমানায় বিশ্বভারতীর জমি রয়েছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ক্ষমতায়িত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।

এক বিবৃতিতে তিনি জানান, বিশ্বভারতীর যে জমিতে তার বাড়ি, সেটি দীর্ঘমেয়াদি লিজ নেওয়া আছে। মেয়াদ শেষ হতে এখনও অনেক বছর বাকি।

তিনি বলেন, ‘শান্তিনিকেতনের নিজস্ব ঐতিহ্য ও উপাচার্যের আচরণের মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে। আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারতাম। কারণ, তিনি বাংলার ওপর কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবেই দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে ক্ষমতায়িত হয়েছেন।’

গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এক ভাষণে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে জমি দখলের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে চিঠি দিয়েছে। অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ি ‘প্রতীচী’ বিশ্বভারতীর জমির ওপর নির্মিত বলে অভিযোগ তোলা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বভারতীর জমিতে রেস্তোঁরা, স্কুল ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও আছে।

এর প্রতিক্রিয়ায় অমর্ত্য সেন জানান, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কখনও জমি দখল নিয়ে তার কিংবা তার পরিবারের কাছে কিছু জানায়নি।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর অভিযোগ, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বলেই অমর্ত্য সেনের মতো মনীষীকে আক্রমণ করা হচ্ছে। বাংলার পক্ষ থেকে অমর্ত্য সেনের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের কাছে এক চিঠিতে তিনি বলেন, ‘বিশ্বভারতীতে কিছু নব্য বহিরাগত আপনার পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে আশ্চর্যজনক ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন। এতে আমি বেদনাহত ও দেশের সংখ্যাগুরুদের ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে যে লড়াই আপনি শুরু করেছেন, আমি তাকে পূর্ণ সমর্থন জানাই। এই লড়াই-ই আপনাকে এই সব অসত্য শক্তির শত্রুতে পরিণত করেছে।’

অসহিষ্ণুতা ও সর্বগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে তাকে ‘বোন ও বন্ধু’ হিসেবে বিবেচনা করার জন্যও অমর্ত্য সেনকে অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

বিজেপি মতাদর্শের বিরুদ্ধে অমর্ত্য সেন দীর্ঘদিন ধরেই সরব ছিলেন। জমি দখলের বিষয়ে অমর্ত্য সেন বলেন, ‘আমি যা করার, ভারতের আইনের সাহায্যেই করবো।’

Comments

The Daily Star  | English
expediency

Expediency triumphs over principle in electoral politics

It appears that all of the ruling party’s efforts revolve around the next election, not considering longer-term ramifications for the itself.

3h ago