অভিষেকে উজ্জ্বল গিল-সিরাজকে কৃতিত্ব দিলেন ভারতীয় দলনেতা

gill and siraj
ছবি: টুইটার

ব্যবধানটা মাত্র দশ দিনের! অ্যাডিলেডে ৩৬ রানে গুটিয়ে গিয়ে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়া ভারত মেলবোর্নে জিতে সমতায় ফিরেছে সিরিজে। দুঃসহ স্মৃতি ভুলে দাপট দেখানোয় আজিঙ্কা রাহানের সাধুবাদ পেয়েছেন তার সতীর্থরা। ভারতীয় দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক আলাদাভাবে উল্লেখ করেছেন ওপেনার শুবমান গিল ও পেসার মোহাম্মদ সিরাজের কথা।

মঙ্গলবার বক্সিং ডে টেস্টের চতুর্থ দিনে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে ভারত। অথচ কয়েক দিন আগেই সাদা পোশাকে নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয়েছিল তারা। তাতে দলটির মানসিক অবস্থা স্বভাবতই পৌঁছে যাওয়ার কথা তলানিতে। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছিল নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও পেস আক্রমণের অন্যতম অস্ত্র মোহাম্মদ শামির অনুপস্থিতি। কিন্তু রাহানের নেতৃত্ব গুণে এবং ব্যাটে-বলে আরও কয়েক জনের অবদানে অনায়াসে চ্যালেঞ্জ উতরে গেছে সফরকারীরা।

ম্যাচ শেষে রাহানে বলেছেন, ‘সব খেলোয়াড়ের জন্য সত্যিই আমি গর্বিত। সত্যিই সবাই ভালো খেলেছে। বিশেষ করে, সিরাজ ও গিলকে কৃতিত্ব দিতে চাই আমি। অ্যাডিলেডে হারের পর যে চোয়ালবদ্ধ দৃঢ়তা তারা প্রদর্শন করেছে, সেটা দেখতে পেয়ে আমার দারুণ লেগেছে।’

পৃথ্বী শয়ের জায়গায় সুযোগ পেয়েছিলেন গিল। ২১ বছরের এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান প্রথম ইনিংসে করেন ৪৫ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি অপরাজিত থাকেন ৩৫ রানে। শামির চোটে দলে ঢোকা সিরাজ দুই ইনিংস মিলিয়ে নেন ৫ উইকেট। ২৬ বছরের এই পেসারকে দ্বিতীয় ইনিংসে পালন করতে হয় বাড়তি দায়িত্ব। কারণ, চোটের কারণে উমেশ যাদব মাত্র ৩.৩ ওভার বল করতে পারেন।

দুই তরুণের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ রাহানে পঞ্চমুখ হয়েছেন তাদের প্রশংসায়। তার মতে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে শুরুতেই নজরকাড়া নৈপুণ্য দেখানোর পেছনে ভূমিকা রেখেছে দুজনের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা।

‘শুবমান... আমরা সবাই তার প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার সম্পর্কে জানি এবং এই ম্যাচে এমন (আন্তর্জাতিক) পর্যায়ে পরিকল্পিত শট খেলার ইঙ্গিত রেখেছে সে। পাশাপাশি পরিচয় দিয়েছে আত্মসংযমের।’

‘সিরাজ দেখিয়েছে যে, সে শৃঙ্খলা সহকারে বোলিং করতে পারে। নতুনদের জন্য শৃঙ্খলা নিয়ে বোলিং করা সত্যিই কঠিন। তবে আমার মনে হয়, এসব ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির অভিজ্ঞতা বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে।’

Comments

The Daily Star  | English

Yunus promises election on time

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday reaffirmed his commitment to holding the 13th national election in the first half of February next year.

7h ago