দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে রেল সম্প্রসারণের চেষ্টা চলছে: রেলমন্ত্রী

প্রতিটি জেলার সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি প্রতিবেশী ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ সম্প্রসারণের চেষ্টা চালানোর কথা জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এজন্য আভ্যন্তরিন সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অবকাঠামো গড়ে তোলার জন্য ইতিমধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয় অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন | ছবি: সংগৃহীত

প্রতিটি জেলার সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি প্রতিবেশী ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ সম্প্রসারণের চেষ্টা চালানোর কথা জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এজন্য আভ্যন্তরিন সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অবকাঠামো গড়ে তোলার জন্য ইতিমধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয় অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

রেলমন্ত্রী আজ দুপুরে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ বিষয়ে অংশীজনের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় এসব কথা জানান।

রেলমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় ভারসাম্যপূর্ণ রেল যোগাযোগ গড়ে তোলার পাশাপাশি রেল ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। এক সময় খুলনা-মংলা পর্যন্ত রেল যোগাযোগ ছিল। সেই হিসেবেই এখন নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর এলাকাগুলোসহ প্রতিটি জেলায় রেল যোগাযোগ সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, চতুর্দেশীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা সংবলিত বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ করা হলে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণসহ বহুমাত্রিক অর্জন সম্ভব হবে। পঞ্চগড়বাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ও ভারতের আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাবান্ধা-শিলিগুড়ি রেললাইন স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই ও নকশার কাজ চলছে।

রেলমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অভিভক্ত ভারতে যে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল সেগুলোর অনেকগুলোই ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর বন্ধ হয়ে যায়। সেগুলো ধীরে ধীরে চালু করার প্রক্রিয়া চলছে। সেই সঙ্গে আমরা নতুন করে সম্ভাবনাময় কিছু জায়গায় রেল যোগাযোগ স্থপনের কাজ করছি।’

ভারতের সঙ্গে যে আটটি ইন্টারসেকশন পয়েন্ট (আন্তসংযোগ) ছিল তার মধ্যে ইতিমধ্যে পাঁচটি চালু করা হয়েছে। অচিরেই বাকি গুলো চালু করা হবে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের জন্য রেল মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যে অ্যালাইনমেন্ট অনুমোদন ও বিস্তারিত কার্যক্রমের জন্য কারিগরি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সভা শেষে মন্ত্রী পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত প্রস্তাবিত রেল লাইন এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেন।

নতুন রেললাইন নির্মানের প্রস্তাবিত এই প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে ৪৭ দশমিক ৪ কিলোমিটার নতুন রেললাইন, পাঁচটি রেল ষ্টেশন, চারটি সেতু, ১৪টি কালভার্ট নির্মাণের সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য ৮৬০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হতে পারে। জমি অধিগ্রহণ ছাড়া প্রাথমিকভাবে প্রকল্পে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে বলে জানা গেছে।

Comments

The Daily Star  | English

JP headed for yet another split?

Jatiya Party, the main opposition party in parliament, is facing another split centering the conflict between its Chairman GM Quader and Chief Patron Raushan Ershad over MP nominations, party insiders said.

1h ago