পাবনায় পরিবহন ধর্মঘট, ভোগান্তিতে হাজারো যাত্রী

Pabna_Bus_Strike_31Dec20.jpg
ছবি: স্টার ফাইল ছবি

জেলা পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ধর্মঘট ডাকায় পাবনা থেকে আন্তঃজেলায় চলা কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু হয়।

পাবনা-ঢাকা মহাসড়ক ও শাহজাদপুর উপজেলা মহাসড়কে মালিক-শ্রমিকদের চাঁদাবাজি বন্ধ; শ্রমিকের ওপর নির্যাতন বন্ধ; যানবাহন ভাঙচুর বন্ধ ও ক্ষতিপূরণ প্রদান; মালিক-শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের মাধ্যমে অবৈধভাবে পরিবহন নিয়ন্ত্রণ, ব্যক্তি স্বার্থ সংরক্ষণ, একক আধিপত্য বিস্তার ও পরিবহন আইনের অপব্যবহার বন্ধ; সিরাজগঞ্জের সরিষাকোল, দিলরুবা ও বিসিক এলাকায় যাত্রী ওঠা-নামায় বাধা দেওয়া বন্ধ এবং শাহজাদপুরে পাবনার বাস কাউন্টার সুবিধা দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল সংগঠনটি।

দাবি পূরণে পাবনা জেলা পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা সংবাদ সম্মেলনে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। ধর্মঘটের কারণে পাবনা থেকে ২২টি জেলায় চলা কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। অন্য জেলা থেকেও কোনো বাস পাবনায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা হাবিবুর রহমান হাবিব দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘কয়েকবার সিরাজগঞ্জ পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতি, শাহজাদপুর পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠন এবং সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। আমরা আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম, তাতেও কাজ হয়নি। যে কারণে আমরা ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হয়েছি।’

সকাল থেকেই পরিবহন শ্রমিকদের পাবনা বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ সমাবেশ করতে দেখা গেছে। পাবনা জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের সাবেক সভাপতি ফিরোজ খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘পাবনা থেকে দেশের ২২টি জেলায় বাস চলাচল করে। আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ রাখা হলো। পাবনার ওপর দিয়ে অন্য জেলায় বাস চলতে দেওয়া হবে না।’

Pabna_Bus_Strike1_31Dec20.jpg
পাবনা থেকে দেশের ২২টি জেলায় বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো যাত্রী। ছবি: স্টার

বাস বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ। পাবনা শহরে বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলেন মুসলিমা খাতুন। তিনি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। মুসলিমা খাতুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘স্কুলে যাওয়ার জন্য বের হয়ে দেখি বাস বন্ধ। সিএনজিচালিত অটোরিকশা পর্যন্ত রাস্তায় নামতে দেওয়া হচ্ছে না।’

সকাল থেকে শতাধিক যাত্রীদের একই রকম ভোগান্তির শিকার হতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফিরোজ খান বলেন, ‘যাত্রীদের অসুবিধা হলেও পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আমাদের ধর্মঘট চলবে।’

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

7h ago