বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি: গ্রেপ্তার আরও ৬

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার সূত্র ধরে দুই ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আরও ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তদন্ত উঠে আসে, চক্রটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি করে আসছিল।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার সূত্র ধরে দুই ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আরও ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তদন্ত উঠে আসে, চক্রটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি করে আসছিল।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি’র সাইবার পুলিশ সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি কামরুল আহসান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন— অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মানিক কুমার প্রামানিক (৩৮), জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মো. রকিবুল হাসান শান্ত (২৫) এবং রাশেদুজ্জামান সজীব (৩৬), হাসান মাহমুদ (২২), মো. শাফিকুল ইসলাম (৩০) ও শ্রী রিপন কুমার (২৬)।

মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে নাফিউল ইসলাম ওরফে তাহসিন (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীকে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ কেন্দ্র থেকে আটক করা হয়। তার মোবাইল ফোনে পাওয়া যায় ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের সমাধান। ওই ঘটনায় ঢাবি’র প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ (সংশোধনী/২০১৩) এর ৫৭(২) এবং পাবলিক পরীক্ষা সমূহ (অপরাধ) আইন ১৯৮০ এর ৯(খ)/৯(গ) ধারায় তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলা নম্বর ৭৯।

কামরুল আহসান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়ের করা মামলার তদন্তে জালিয়াতি চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। চক্রটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি করে আসছিল। গত ২২ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে মালিবাগ এলাকা থেকে ওই চক্রের দুই সদস্য হাসান মাহমুদ (২২) ও রাশেদুজ্জামান সজীবকে (৩৬) গ্রেপ্তার করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘পরীক্ষায় জালিয়াতির অপরাধ স্বীকার করে সজীব আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদে সজীব জানিয়েছেন, তিনি সাইফুরস কোচিং সেন্টারে ইংরেজি বিষয়ক শিক্ষক ছিলেন। জালিয়াতি চক্রে তার কাজ ছিল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার ইংরেজি অংশের সমাধান করা। ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে তারা কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করতেন এবং চুক্তি অনুযায়ী পরীক্ষার্থীর কাছে সঠিক উত্তর পৌঁছে দিতেন। শান্তর মাধ্যমে তিনি এই চক্রে যুক্ত হয়েছিলেন।’

কামরুল আহসান আরও বলেন, ‘গত ২৭ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মতিঝিল থেকে শান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতে মানিক কুমার প্রামানিক এবং তার সহযোগী মো. সফিকুল ইসলাম ও শ্রী রিপন কুমারকে রাজশাহীর মোহনপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মানিক কুমার প্রামানিক শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে চুক্তি এবং অর্থ সংগ্রহ করতেন।’

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago