আলোচনায় যখন মার্কা

সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে পৌরসভা নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রার্থীরা। প্রতীক হিসেবে কেউ পেয়েছেন মুলা, কেউ গাজর কেউবা টিউবলাইট। এমন সব প্রতীক নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রার্থীরা।
ছবি: স্টার

সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে পৌরসভা নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রার্থীরা। প্রতীক হিসেবে কেউ পেয়েছেন মুলা, কেউ গাজর কেউবা টিউবলাইট। এমন সব প্রতীক নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রার্থীরা।

পোস্টারে ও নির্বাচনী মিছিলে এসব প্রতীকের স্লোগান বেমানান বলেও মন্তব্য করেছেন তারা।

অন্যদিকে এসব প্রতীক ভোটকেন্দ্রে চিনতে কষ্ট হবে বলেও জানিয়েছেন কয়েকজন ভোটার।

সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্ক্রু ড্রাইভার, ব্ল্যাকবোর্ড, পানির বোতল, টিউব লাইট, ডালিম, ব্রিজ, পাঞ্জাবি, মুলা, গাজরসহ বিভিন্ন প্রতীক গত বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) বরাদ্দ দেওয়া হয় প্রার্থীদের।

জেলার কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া পৌরসভা অন্যদিকে সুনামগঞ্জ, ছাতক ও জগন্নাথপুরসহ তিনটি পৌরসভায় মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মেয়র প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে কোনো প্রশ্ন না তুললেও কাউন্সিলররা অপ্রচলিত কিছু প্রতীক পেয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন।

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডে মো. মোশাহিদ আলীকে পানির বোতল, কুলাউড়া পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে ইমন আহমেদকে পাঞ্জাবি, ৭ নং ওয়ার্ডে মান্না বক্সকে গাজর, সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক আনাছকে ব্রিজ ও ৭ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী আহসান হাবিব আনাসকে ডালিম প্রতীক দেওয়া হয়েছে।

কাউন্সিলর প্রার্থী আহসান হাবিব আনাস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘উপায় না পেয়ে এই প্রতীক আনতে হলো।’

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ভোটার সাদেক মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘এসব মার্কা শুনে অবাক হতে হয়। কেন্দ্রে এসব মার্কা খুঁজে বের করাও কঠিন হয়ে যাবে। কারণ, এসব মার্কা আমাদের কাছে নতুন।’

মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ও সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন প্রতীক বরাদ্দ করে থাকে। জেলা নির্বাচন কার্যালয় সেই নির্দেশ বাস্তবায়ন করে থাকে।

প্রতীক নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সিলেট বিভাগীয় কমিটির আহবায়ক ফারুক মাহমুদ চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘প্রার্থীদের প্রতীকগুলো এলোমেলো করে দেওয়া হয়েছে। একটু চিন্তা করে দিলেই এর চেয়ে অনেক ভালো প্রতীক দেওয়া যেতে পারে।’

তার মতে, যারা প্রতীক বরাদ্দ দেন তাদেরকে অবশ্যই আরও সচেতন হতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English
No hartal and blockade on Sunday

No hartal and blockade on Sunday

BNP has refrained from calling any programmes on Sunday marking International Human Rights Day

3h ago