নারায়ণগঞ্জে রেস্তোরাঁয় জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ ৪
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় একটি রেস্তোরাঁয় জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে চার কর্মী দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিন জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকালে উপজেলা শহরের দুবাই প্লাজার পাঁচতলায় রয়েল রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- আড়াইহাজার উপজেলার কায়েমদি এলাকার ফজলুল হকের ছেলে রাসেল হক (১৮), একই এলাকার ওসমান গণির ছেলে শামসুল হক (২১), উপজেলার ছোট বিনাইয়ের চর এলাকার আনসার আলীর ছেলে ফরিদ আলী (৪৪) ও সিলেটের ফায়জুর রহমানের ছেলে আল আমিন (২০)।
আড়াইহাজার ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মো. শাহজাহান হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বিকাল সোয়া ৩টার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বিস্ফোরণে রেস্তোরাঁর চার কর্মী দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিন জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বিস্ফোরণে রান্নাঘরের জানালার গ্লাস ভেঙে যায় ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে, রেস্তোরাঁর কর্মীরা অসাবধানতাবশত রান্নার গ্যাসের চুলা বন্ধ না করেই বাইরে চলে যান। এতে গ্যাস বের হয়ে রান্নাঘরে গ্যাস জমে থাকে। পরে যখন রান্নাঘরে চুলায় আগুন দিতে যায় তখনই বিস্ফোরণ হয়। রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে তবে সিলিন্ডারের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। জমে থাকা গ্যাস থেকেই এ বিস্ফোরণ হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।’
আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শরিফ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বিকালে দগ্ধ চার জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে রাসেল ও শামসুল হকের শরীরের ১৫ ভাগ ও ফরিদের ৫০ ভাগ পুড়ে গেছে। আল আমিনের শরীরে আগুনের তাপ লেগেছে। তাকে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।’
Comments