জাপানে জরুরি অবস্থা ঘোষণার চাপ বাড়ছে
জাপানে করোনা মহামারি মোকাবিলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণার দাবিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর জনপ্রতিনিধিদের চাপ ক্রমাগত বাড়ছে। রাজধানী টোকিও এবং পার্শ্ববর্তী প্রদেশগুলো থেকে এ চাপ অব্যাহত আছে।
করোনা সংক্রমণ রোধে জরুরি অবস্থা ঘোষণার প্রথম চাপ দেন টোকিও মেট্রোপলিটন গভর্নর ইয়ুরিকো কোইকে। বছরের শেষদিন এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরকারের প্রতি টোকিওসহ অধিক আক্রান্ত প্রদেশগুলোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য কেন্দ্রের প্রতি আহবান জানান। এদিন টোকিওতে রেকর্ড এক হাজার ৩৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কোইকে বলেন, ‘বছর শেষের লম্বা ছুটিতে কেনাকাটা করতে জনসমাগম অত্যধিক বৃদ্ধি পাওয়া করোনা সংক্রমণ বিস্তারের অন্যতম প্রধান কারণ।’
তিনি রাজধানীবাসীদের এই ছুটিতে ঘরে অবস্থান করতে এবং অপ্রয়োজনে বহিরাগতদের রাজধানীমুখী না হওয়ার আহ্বান জানান।
টোকিও ছাড়াও আশপাশের প্রদেশ কানাগাওয়া, চিবা এবং সাইতামার স্থানীয় সরকারগুলোর প্রশাসন থেকেও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি জরুরি অব ঘোষণার আহ্বান জানানো হয়।
প্রদেশগুলোর গভর্নররা কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন মন্ত্রী এবং করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরার সঙ্গে দেখা করে এ আহবান জানান। এসময় নিশিমুরা তাদের আহবানের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে তাদের প্রস্তাব বিবেচনার ইঙ্গিত দেন।
২ জানুয়ারি করোনা শনাক্তে জাপানে টোকিওর পর সবচেয়ে করোনা সংক্রমিত প্রদেশগুলোর মধ্যে কানাগাওয়া দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। এই প্রদেশে এদিন ৩৮২ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। চিবা এবং সাইতামা যথাক্রমে চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে আছে। এদিন প্রদেশগুলোতে শনাক্তের সংখ্যা যথাক্রমে ২৩৬ জন এবং ২১৩ জন। সারা দেশে শনাক্তের সংখ্যা ছিল চার হাজার ৫১৫ জন।
এদিকে আগামীকাল (৪ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা সকাল ১১টায় তার কার্যালয়ে নতুন বছরের প্রথম সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন। আশা করা হচ্ছে নতুন বছরে তার সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা এবং একইসঙ্গে করোনা মোকাবিলার দিকনির্দেশনা প্রদান করবেন।
ইতোমধ্যে সুগা প্রশাসনের ১০০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সুগা এক সংবাদ সম্মেলন করবেন। সুগা ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
Comments