বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ২০০ মিটার সুড়ঙ্গের সন্ধান

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সুড়ঙ্গের সন্ধান পেয়েছে ভারতীয় পুলিশ। ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলার বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ওই সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়া গেছে।
প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সুড়ঙ্গের সন্ধান পেয়েছে ভারতীয় পুলিশ। ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলার বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ওই সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়া গেছে।

আজ রোববার ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া বিষয়টি জানিয়েছে।

আসামের এসপি মায়াঙ্ক কুমার টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘অপহৃত হওয়া এক ব্যক্তিকে সীমান্তসংলগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে ওই সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়া গেছে।’

ভারতীয় পুলিশের ধারণা, সীমান্তে চোরাচালান ও অনুপ্রবেশের জন্য ওই সুড়ঙ্গটি ব্যবহার করা হতো।

জানা গেছে, গত ২৮ ডিসেম্বর দিলওয়ার হোসেন নামে অপহরণ হওয়া এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশ এই সুড়ঙ্গটির খোঁজ পায়।

অপহরণকারীরা তার বাড়িতে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। যে নম্বর থেকে ফোন করা হয়েছিল, সেটি বাংলাদেশের নম্বর ছিল বলে জানিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।

ফিরে আসার পরে থানায় পুলিশকে ওই সুড়ঙ্গের ব্যাপারে খবর দেয় দিলওয়ার। শুক্রবার পুলিশের একটি বিশেষ দল বালিয়া এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সুড়ঙ্গটির খোঁজ পেয়েছে।

দিলওয়ার জানান, এই সুড়ঙ্গটি বাংলাদেশের সিলেট সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছেছে। দুর্বৃত্তরা নিয়মিতভাবে এই সুড়ঙ্গটি পণ্য পাচার বা অপহৃতদের অন্য পাশে নিয়ে যেতে ব্যবহার করে।

এসপি কুমার বলেন, ‘সুড়ঙ্গটি একটি জঙ্গলের গভীরে যার উপরে কাঁটাতারের বেড়া আছে। বিএসএফকে ইতোমধ্যেই সুড়ঙ্গের ভারতীয় মুখ বন্ধ করতে বলা হয়েছে।’

দিলওয়ার জানান, করিমগঞ্জে প্রায় ৯২ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে অন্তত ৬৩টি প্রাকৃতিক গর্ত আছে। এর মধ্যে প্রায় ২২টির মাধ্যমে অনুপ্রবেশ ঘটে থাকে।

২০১৮ সালের মে মাসে, করিমগঞ্জ জেলার মদনপুরে একইরকম আরেকটি সুড়ঙ্গের খোঁজ পাওয়া যায়, সেটি দিয়ে গবাদিপশু পাচার করা হতো।

Comments

The Daily Star  | English
Dhaka's water crisis: Rapidly falling groundwater level raises fear for freshwater crisis, land subsidence; geoscientists decry lack of scientific governance of water

Dhaka stares down the barrel of water

Once widely abundant, the freshwater for Dhaka dwellers continues to deplete at a dramatic rate and may disappear far below the ground.

15h ago