দক্ষিণ কোরিয়ার ট্যাঙ্কার আটক করেছে ইরান

ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস উপসাগরীয় জলসীমায় দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকাবাহী একটি ট্যাঙ্কার আটক করেছে। সোমবার ইরানের প্রচার মাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাংকগুলোতে ইরানের তহবিল জমে যাওয়া নিয়ে তেহরান ও সিউলের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজকালে এ ঘটনা ঘটলো।
উপসাগরীয় জলসীমায় দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকাবাহী ট্যাঙ্কার। ছবি: রয়টার্স

ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস উপসাগরীয় জলসীমায় দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকাবাহী একটি ট্যাঙ্কার আটক করেছে। সোমবার ইরানের প্রচার মাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাংকগুলোতে ইরানের তহবিল জমে যাওয়া নিয়ে তেহরান ও সিউলের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজকালে এ ঘটনা ঘটলো।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনসহ কয়েকটি ইরানি প্রচার মাধ্যম বলেছে, উপসাগরীয় অঞ্চলকে রাসায়নিক দিয়ে দূষিত করায় গার্ডের নৌবাহিনী জাহাজটি দখল করেছে।

সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানায়, ট্যাঙ্কারের ক্রু সদস্যদের আটক করা হয়েছে। তাতে দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম এবং মিয়ানমারের নাগরিকও আছে। কিন্তু, সেখানে কতজন আছে তা তারা জানায়নি। এতে বলা হয়েছে, ট্যাঙ্কারটি ইরানের বন্দর আব্বাস পোর্ট শহরে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

রয়টার্সের এক প্রশ্নের জবাবে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রেবেকা রেবারিচ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর বাহরাইনভিত্তিক পঞ্চম নৌবহর বিষয়টি নিয়ে সচেতন অবস্থানে আছে এবং তারা পর্যবেক্ষণ করছে।

ইরানি কর্তৃপক্ষ এখনো এ ঘটনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তেহরান সফরের আগে এই ঘটনা ঘটলো।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার বলেছে, এই সফরে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা ইরানের সাত মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ছাড়ের বিষয়ে আলোচনা হবে।

ওয়াশিংটন ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার পর ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তেহরান যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে অর্থনৈতিক যুদ্ধ বলে অভিহিত করে আসছে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago