১০ মাস পর বুবলি ‘ব্যক্তিগত বিষয় জানাতে চাই না’

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ঠিক ১০ মাসে কোথাও দেখা যায়নি ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা শবনম বুবলিকে।
শবনম বুবলী। ছবি: র‌্যাফ

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ঠিক ১০ মাসে কোথাও দেখা যায়নি ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা শবনম বুবলিকে।

সৈকত নাসির পরিচালিত ‘ক্যাসিনো’ ছবির শুটিংয়ে শেষ অংশ নিয়েছিলেন গত বছর ১২ ফেব্রুয়ারি। পরে একটি দৈনিক পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছিলেন একই মাসের শেষের দিকে। বুবলির  মুক্তিপ্রাপ্ত শেষ ছবি ছিল কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বীর’। তারপর থেকে ১০ মাস সবকিছু থেকে নিজেকে আড়াল রেখেছিলেন এই চিত্রনায়িকা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তিনি কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।

১০ মাস নিজেকে সবকিছু থেকে আড়ালে রেখেছিলেন কেন?

সবারই একটা ব্যক্তিগত জীবন আছে, পরিবার আছে। অবসর সময়টায় সে ব্যক্তিগত ও পরিবারের জন্য রাখে। আর আমাকে মুঠোফোনে না পাওয়ার কারণ, আমার কাজের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ফোন নম্বরটি ছয় মাস ব্যবহার করিনি। তবে হোয়াটসঅ্যাপে পরিচিত অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। কিন্তু এরপরেও যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।

তাহলে এই ১০ মাস কোথায় ছিলেন? কীভাবে কাটলো সময়গুলো?

২০১৯ সাল থেকেই পরিকল্পনা ছিল একটু অবসর পেলে নিজেকে আরও পরিপূর্ণভাবে গড়ে তুলবো। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিন আমেরিকা যাই। সেখানে ফিল্ম সম্পর্কিত একটি কোর্স সম্পন্ন করেছি নিউ ইয়র্ক ফিল্ম একাডেমী থেকে। চার মাসের কোর্স থাকলেও করোনা মহামারির কারণে সম্ভব হয়নি, একমাসে শেষ করতে হয়েছে। লকডাউনের আগে সরাসরি ক্লাস করতে হয়েছে। পরে অনলাইনেই ক্লাস করতে হয়েছে। দেশে ফেরার কথা ছিল বেশ আগেই। কিন্তু লকডাউন থাকায় আসতে পারিনি। ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশে আসতে পেরেছি। সেখানে নিউ মিডিয়া, ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে অনেক কিছু শিখেছি। পাশাপাশি টেক্সট ইন অ্যাকশন, পারফরমেন্স এনালাইসিস, চিত্রনাট্যের ভাষা, ফিল্মে অভিনয় নিয়ে নানান কিছু জেনেছি।

আড়াল হওয়ার কারণ সন্তান জন্ম দেওয়া, এমন কথা শোনা গিয়েছিল মিডিয়ায়।

আমি আমার ব্যক্তিগত কোনো কিছুই প্রকাশ্যে আনার পক্ষে ছিলাম না কোনো কালেই। তবে আমার দর্শকদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আগ্রহ রয়েছে, তাদের সেই আগ্রহকে সম্মান করি। ব্যক্তিগত বিষয়গুলো জানাতে চাই না। সময় হলে জানাবো আশা করছি। সবকিছুর জন্য সময় দিতে হয়। এটা ব্যক্তি জীবন হোক আর কাজের জীবন হোক। আপাতত কাজে ফেরার খবরটিই দিলাম। ধীরে ধীরে আমিই সব কিছু জানাবো।

কোনো ধরনের চাপ আছে কী আপনার প্রতি। এই কথা বলতে পারবেন, এই কথা বলতে পারবেন না, এমন কিছু?

কোনো ধরণের চাপ নেই আমার ওপর। আসলে নিজেকে সময় দেওয়ার জন্য অনেক কিছু থেকে নিজেকে আড়াল করে রেখেছিলাম। যদি কিছু থেকেই থাকে সবকিছু সময় হলে জানাবো।

Comments