করোনা ভ্যাকসিন রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়নি: ভারতের স্বাস্থ্য সচিব

RAJESH BHUSHAN.jpg
ভারতের স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন রপ্তানি নিষিদ্ধ করেনি বলে জানিয়েছে ভারত। সম্প্রতি ‘অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা’ ও ‘কোভাক্সিন’ করোনা ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ভারতের স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার কোনো ভ্যাকসিনের রপ্তানি নিষিদ্ধ করেনি এবং বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া দরকার।’

এক প্রশ্নের জবাবে ভূষণ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার বললে তিনটি মন্ত্রণালয় বোঝায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বিভাগ এবং বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগ।’

‘তাদের কেউই এ জাতীয় কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাই সংবাদমাধ্যমের কাছে অনুরোধ, এ ধরনের ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে আমাদের সবারই সতর্ক থাকা উচিত,’ বলেন তিনি।

ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) রোববার সেরাম ইনস্টিটিউট উত্পাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’ ও ভারত বায়োটেকের ‘কোভাক্সিন’ দেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয়।

স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ সেরাম ইনস্টিটিউট ও ভারত বায়োটেকের যৌথ বিবৃতির কথা উল্লেখ করে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরে বলেন, ‘ভ্যাকসিন বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের ভালোর জন্য উৎপাদন হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী এগুলো সরবরাহ করাই আমাদের যৌথ অঙ্গীকার।’

‘এর অর্থ কেন্দ্রীয় সরকার বা ভ্যাকসিন নির্মাতারা কেউই ভ্যাকসিন রপ্তানিতে কোনো নিষেধাজ্ঞার কথা বলছে না’, বলেন তিনি।

বিবিসি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে যে, ভারতে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হওয়ার পনেরো দিনের মধ্যে তারা স্থানীয়ভাবে তৈরি করোনা ভ্যাকসিন রপ্তানি শুরু করবে।

‘ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরুর পনেরো দিনের মধ্যে আমরা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশে ভ্যাকসিন রপ্তানির অনুমতি দেব। এর মধ্যে কিছু উপহার হিসেবে দেওয়া হবে। বাকিগুলো ভারত সরকারের কেনা দামেই সরবরাহ করা হবে’, বিবিসিকে বলেন ওই কর্মকর্তা।

Comments

The Daily Star  | English

ICT investigators submit report against Hasina, 2 others

The charges stem from the violent crackdown during the July 2024 mass uprising

1h ago