খাবারে মাংস কম দেয়া নিয়ে সংঘর্ষে বরের চাচার মৃত্যু: গ্রেপ্তার ৯
বরিশালের বাবুগঞ্জে বৌভাতের খাবারে মাংস কম দেওয়া নিয়ে বর ও কনে পক্ষের সংঘর্ষে বরের চাচার মৃত্যুর ঘটনায় নয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত কনের বাবা বরিশাল সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মী আবুল কালাম হাওলাদারসহ নয় জনকে আজ বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল বাবুগঞ্জ উপজেলার চাদপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ রফিয়াদি গ্রামে সংঘর্ষে মারা যান আজহার মীর (৬৫)। এ ঘটনায় তার ছোট ভাই সুরুজ মীর এয়ারপোর্ট থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ২০-২৫ জনের নামে হত্যা মামলা করেন।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদ বিন আলম বলেন, ‘জানতে পেরেছি, প্রথম বারেই খাওয়ার সময় গরুর মাংস কম পড়ে গেলে, দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে মারামারির সূচনা হয়। প্রথমে হাতাহাতি, তার পর প্লেট ও চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও পরে আশেপাশের লাঠি দিয়ে মারামারি চলে। তবে সামান্য ঘটনা থেকেই এই বড় ধরনের ঘটনা ঘটেছে তাতে সন্দেহ নেই।’
পেশায় অটোরিকশা চালক বর সজীব মীর দাবি করেন, আমার চাচা আজহার মীর গোলযোগ ঠেকাতে এগিয়ে আসলে তাকে প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে আঘাত করা হলে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান।
তিনি বলেন, বৌভাতের আয়োজনে প্রায় ৩০০ মানুষ কে দাওয়াত করা হয়। মেনু ছিল- পোলাউ, রোস্ট, ডাল ও গরুর মাংস।
পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় রাতেই কনেসহ ২০ জনকে থানায় আনা হলেও পরে আসামি ৯ জনকে রেখে বাকিদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে আজহার মীরের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন, তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-
Comments