হামলাকারীদের ফ্লাইটে নিষিদ্ধের দাবি মার্কিন এয়ারলাইন্স ইউনিয়নের

Stormed_Capitol_Washington_.jpg
গতকাল বুধবার কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনের দিনে কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলা চালায় ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকরা। ছবি: এপি

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে অধিবেশন চলাকালে হামলাকারী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা যেন ওয়াশিংটন এলাকা ছেড়ে যেতে না পারেন সে জন্য তাদের বাণিজ্যিক ফ্লাইট বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ইউনিয়ন।

যুক্তরাষ্ট্রের দুটি এয়ারলাইন্সের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকরা ওয়াশিংটন ছেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে। ১৭টি এয়ারলাইন্সের কর্মীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টসের প্রেসিডেন্ট সারা নেলসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘গতকাল উত্তেজিত জনতার এমন আচরণের প্রভাব পড়েছিল ওয়াশিংটন ডিসি এলাকার ফ্লাইটগুলোতে। এটি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি প্রতিটি যাত্রীর নিরাপত্তার জন্যে হুমকি।’

নির্বাচনের কয়েক মাস আগে থেকেই ভোট জালিয়াতি ও ষড়যন্ত্রের কথা বলে আসছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একাধিকবার তিনি শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন না বলেও জানিয়েছিলেন। গত ৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে হারার পরেও আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। তার আইনি লড়াইয়ের প্রতিটি প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে।

তবুও হোয়াইট হাউস ছাড়তে রাজি নন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরিকল্পনা ছিল, ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসের সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া ও নির্বাচনি ফল পাল্টে দেওয়ার। কংগ্রেসের অধিবেশনে ইলেকটোরাল কলেজের ভোট প্রত্যাখ্যানের জন্য কংগ্রেস সদস্যদের রাজি করানো নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন ট্রাম্প। সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান থাকায় এ নিয়ে আশাবাদীও ছিলেন তিনি।

কিন্তু অধিবেশনের এক দিন আগেই জর্জিয়ার সিনেট নির্বাচনে দুটি আসন জিতে নেয় ডেমোক্র্যাটরা। ফলে কংগ্রেসের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডেমোক্রেটিক পার্টি পার্লামেন্টের উভয় কক্ষেরই নিয়ন্ত্রণ পান।

ট্রাম্পের ইচ্ছা ছিল, সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান দলের প্রার্থীরা জয়ী হয়ে যেন বাইডেনের কর্মসূচিগুলো আটকাতে পারেন। সিনেট নির্বাচনে পরাজয়ের পর আবারও তিনি টুইটারে ভোট কারচুপির দাবি করেন। গতকাল বুধবার কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনের দিনে কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলা চালায় ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকরা। সে সময় কয়েক শ সমর্থক অস্ত্র-শস্ত্রসহ পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে ঢুকেছিল।

ইউএস ট্র্যাভেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান রোজার সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলেছেন, একটি সহিংস আচরণের সাক্ষী হলাম আমরা, যেখানে শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্রের কোনো জায়গা ছিল না। এ ধরনের নজির এই প্রথম।’

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh RMG sector

RMG sector on edge as tariff talks make no headway

The diverging outcomes threaten to create a multi-tiered tariff landscape in Asia, placing nations like Bangladesh at a serious disadvantage in the US market.

10h ago