নিজে নিজেকে ক্ষমার পথ খুঁজছেন ট্রাম্প

ঘনিষ্ঠ সহযোগী মধ্যে যাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছিল তাদের অনেককেই ক্ষমা করে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার প্রেসিডেন্ট নিজেকেও ক্ষমা করার ক্ষমতা রাখেন কি না, সেই বিষয়েও খোঁজ নিয়েছেন তিনি।
Donald Trump
রয়টার্স ফাইল ফটো

ঘনিষ্ঠ সহযোগী মধ্যে যাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছিল তাদের অনেককেই ক্ষমা করে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার প্রেসিডেন্ট নিজেকেও ক্ষমা করার ক্ষমতা রাখেন কি না, সেই বিষয়েও খোঁজ নিয়েছেন তিনি।

আজ শুক্রবার একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের পরামর্শক প্যাট সিপোলনসহ সহযোগী ও আইনজীবীদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছেন ট্রাম্প।

গত বুধবার ক্যাপিটল ভবনে ট্রাম্পের সমর্থকদের হামলা কিংবা জর্জিয়ার সেক্রেটারি অব স্টেটকে ভোটের ফল পাল্টে দিতে চাপ দেওয়ার কথা ফাঁস হওয়ার পর তিনি দায়মুক্তির আলোচনায় জোর দিয়েছেন কি না, সেটি স্পষ্ট নয় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ট্রাম্প নির্বাচনের দিন থেকেই নিজেকে ক্ষমা করার উপায় আছে কি না এ নিয়ে জানতে চেয়েছেন। নিজেকে ক্ষমা করার বিষয়ে আইনে কী বলা আছে, প্রেসিডেন্ট নিজেকে ক্ষমা করার ক্ষমতা রাখেন কি না— এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছেন তিনি।

হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কাউন্সেল অফিসে এখন পর্যন্ত এ নিয়ে এখন কোনো কাজ হচ্ছে না। তবে বিচার বিভাগে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার সম্ভাবনা আছে।

সম্প্রতি, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ফক্স নিউজের সিন হ্যানিটি জানিয়েছেন, বিদায়ী প্রেসিডেন্টের উচিত নিজেকে ক্ষমা করা প্রক্রিয়া নিয়ে ভাবা।

এর আগে ট্রাম্প নিজেও এক টুইটে জানিয়েছিলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে এটি করার ক্ষমতা তার রয়েছে।

২০১৮ সালে এক টুইটে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘বহু আইনবিদের সঙ্গে কথা বলে আমি জেনেছি, নিজেকে ক্ষমা করার পূর্ণ ক্ষমতা আমার আছে। কিন্তু কেন সেটা আমি করতে যাব, আমি তো কোথাও কোনো ভুল করিনি?’

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আদৌ সেই ক্ষমতা রাখেন কি না, তা নিয়ে আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতভেদ আছে।

সিএনএন জানিয়েছে, বিচার বিভাগের একটি লিগ্যাল মেমোতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট নিজেকে ক্ষমা করতে পারেন না। তবে তিনি পদত্যাগ করে ভাইস প্রেসিডেন্টের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে পারেন এবং তার কাছে ক্ষমার আবেদন করতে পারেন। তবে সেই লিগ্যাল মেমোটিও চূড়ান্ত কিছু নয়।

সিএনএন’’র আইন বিশ্লেষক এলি হানিগ গত বছর বলেছিলেন, নিজেকে ক্ষমা করার প্রক্রিয়ায় অনেক আইনি চ্যালেঞ্জ আছে।

‘একজন আইনজীবী প্রথমে ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করবেন। তারপর আদালতে মামলা হবে। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যেতে পারে,’ উল্লেখ করে গত জুলাইয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘বিচার বিভাগ ও সংবিধানে জটিল প্রক্রিয়া আছে। এর মাধ্যমে হয়তো ট্রাম্প ক্ষমা পাবেন না। কিন্তু, চেষ্টা করে দেখতে কোনো ক্ষতি নেই।’

আরও পড়ুন:

মেয়াদ শেষের আগেই ট্রাম্পকে সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান

টুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরে পেলেন ট্রাম্প, ফেসবুকে এখনো নিষিদ্ধ

ক্যাপিটল ভবনে হামলা: ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার ৩ সদস্যের পদত্যাগ

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের ‘কালো দিন’

ট্রাম্প সমর্থকদের হামলা: ফার্স্ট লেডির চিফ অব স্টাফের পদত্যাগ

ছবিতে কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে ট্রাম্প-সমর্থকদের হামলা

নিহত ৪: ওয়াশিংটনের কংগ্রেস ভবনে ট্রাম্প-সমর্থকদের হামলা

Comments

The Daily Star  | English
power outage in rural areas

Power outages on the rise again

Power cuts are getting more frequent as power generation has failed to keep up with the high demand caused by the rising mercury.

10h ago