শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ

৩ তরুণকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

রাজধানী ঢাকার কলাবাগান এলাকায় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল মাস্টারমাইন্ডের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে আটক তিন তরুণকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের নিউমার্কেট অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার আবুল হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে হত্যা ও ধর্ষণে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। যে কারণে মুচলেকা নিয়ে তাদের অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। আমাদের তদন্ত চলছে, ধর্ষণের পরে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তিন তরুণের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা মা কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে যান। এর এক ঘণ্টা পরে তার বাবাও ব্যবসায়িক কাজে বাসা থেকে বের হয়ে যান। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই শিক্ষার্থী তার মাকে ফোন করে কোচিং থেকে পড়ালেখার পেপার্স আনার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। মামলার একমাত্র আসামি ‘ও’ লেভেল পড়ুয়া শিক্ষার্থী দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে ফোন করে ওই শিক্ষার্থীর মাকে জানান, মেয়েটি তার বাসায় গিয়েছিলেন। হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে।

অফিস থেকে বের হয়ে আনুমানিক দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা হাসপাতালে পৌঁছেন। হাসপাতালের কর্মচারীদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসামি তার কলাবাগান ডলফিন গলির বাসায় ডেকে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে অচেতন হয়ে পড়লে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আসামি নিজেই তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে কলাবাগান থানা পুলিশের একটি দল হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়— উল্লেখ করা হয় এজাহারে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে আজ সকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার গোপালপুরে পারিবারিক কবরস্থানে ওই স্কুলছাত্রীর দাফন করা হয়েছে। এর আগে গোপালপুর ঈদগাহ মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় অংশ নেওয়া মানুষ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এ ঘটনার বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী।

আরও পড়ুন:

‘ধর্ষকের বিচারের ক্ষেত্রে যেন অন্য কোনো প্রভাব প্রশ্রয় না পায়’

অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ফরেনসিক চিকিৎসক

শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা: আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ: আসামির ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ

‘ধর্ষণের বিষয়টি লুকাতে নেওয়া হয়েছিল হাসপাতালে’

কলাবাগানে ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ

Comments

The Daily Star  | English

Govt issues ordinance amending Anti-Terrorism Act

Activities of certain entities, and activities supporting them can now be banned

21m ago