জাভা সাগরে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার
অর্ধশতাধিক আরোহীসহ ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে ছেড়ে যাওয়া শ্রীবিজয়া এয়ার উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ জাভা সাগরে পেয়েছেন উদ্ধারকারীরা।
আজ রোববার সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, আজ ভোরে জাভা সাগরে বোয়িং ৭৩৭-৫০০ এর ধ্বংসাবশেষ ও মরদেহের অংশ বিশেষ ও ছেঁড়া জামাকাপড় উদ্ধার করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার যোগাযোগমন্ত্রী বুদি কার্য সুমাদি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ উড়োজাহাজ ধ্বংসের সম্ভাব্য স্থানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েছিল।’
দেশটির জাতীয় তল্লাশি ও উদ্ধার সংস্থার প্রধান বাগুস পুরোহিত এক বার্তায় বলেছেন, ‘ধ্বংসাবশেষগুলো লানচাং দ্বীপ ও লাকি দ্বীপের মধ্যবর্তী স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।’
সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উড়োজাহাজটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ১২ ঘণ্টার বেশি সময় জানা যায়নি কী ঘটেছে এর ভাগ্যে। প্রায় ২৭ বছর পুরনো ছিল এই উড়োজাহাজটি।
২০১৮ সালে লায়ন এয়ারের এই মডেলের একটি উড়োজাহাজ ১৮৯ জন যাত্রী-ক্রু নিয়ে জাকার্তার কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল।
বোয়িং কোম্পানি থেকে এক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘আমরা আমাদের এয়ারলাইন কাস্টমারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। এমন দুর্যোগময় মুহূর্তে আমরা তাদের পাশে আছি।’
বিস্ফোরণ
জাকার্তার উপকূলে থাউজেন্ড দ্বীপের কাছে জেলেরা বলেছেন, তারা শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছিলেন।
সুলিহিন নামের এক জেলে টেলিফোনে বার্তা সংস্থা এপি’কে বলেছেন, ‘কোনকিছু বিস্ফোরিত হওয়ার শব্দ শুনে ভেবেছিলাম হয়তো বোমা নয়তো সুনামি। এরপর সাগর থেকে পানি ছিটকে উঠতে দেখি।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘সে সময় আবহাওয়া খারাপ ছিল। তুমুল বৃষ্টি হচ্ছিল। চারপাশ পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল না। কিন্তু, পানি ছিটকে উঠা দেখা গিয়েছিল। প্রচণ্ড শব্দের সঙ্গে ঢেউ সৃষ্টি হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের নৌকার আশেপাশে উড়োজাহাজের তেল ও ধ্বংসাবশেষ ভেসে এসেছিল।’
আরও পড়ুন:
Comments