কক্সবাজারে শিশুর মরদেহ উদ্ধার, সহকর্মী রোহিঙ্গা কিশোর পলাতক

কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার কোর্টবাজারের একটি ডেকোরেটরের দোকান থেকে এক শিশুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের একটি দল (সিআইডি)।
Coxsbazar_DS_Map.jpg
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার কোর্টবাজারের একটি ডেকোরেটরের দোকান থেকে এক শিশুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের একটি দল (সিআইডি)।

শিশুটির নাম মোহাম্মদ ফোরকান প্রকাশ কালু (১৪)। সে রত্নাপালং ইউনিয়নের তেলিপাড়ার বশির আহমদের ছেলে।

আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে কোর্টবাজারের দক্ষিণ স্টেশন এলাকার শাহ আলম ডেকোরেটর থেকে ফোরকানের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনার পর নিহত ফোরকানের সহকর্মী মোহাম্মদ আয়াজ নামের এক রোহিঙ্গা কিশোর পলাতক রয়েছে।

ডেকোরেশন দোকানের মালিক শাহ আলম বলেন, ‘রোহিঙ্গা কিশোর আয়াজকে আমি চিনি না। তাকে ফোরকানই কাজ করার জন্য নিয়ে আসে কিছুদিন আগে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফোরকান আমার দোকানে অনেকদিন ধরে কাজ করছে। গতকাল ফোরকান ও আয়াজকে দোকানে রেখে আমি রাত ১২টার দিকে বাড়িতে যাই। আজ সকাল ৯টার দিকে দোকানে এসে ফোরকানের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পাই। আয়াজকে খুঁজে পাওয়া যায়নি, সে পালিয়ে গেছে। তাকে পাওয়া গেলে ঘটনা সম্পর্কে জানা যাবে।’

নিহত ফোরকানের বাবা বশির আহমেদ বলেন, ‘কে বা কারা কী কারণে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে আমি জানি না। সকালে শুনতেই পাই, আমার ছেলের মরদেহ গলাকাটা অবস্থায় দোকানে পড়ে আছে। আমি আমার ছেলের হত্যাকারীদের বিচার চাই।’

উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘পুলিশ খবর পায় সকাল ১০টার দিকে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। পরে পুলিশের সিআইডির একটি দল ঘটনাস্থলে এসে থানা পুলিশের সহযোগিতায় মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা উদঘাটনে তদন্ত করছে পুলিশ। রোহিঙ্গা কিশোর আয়াজকে আটকের চেষ্টা চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দোকান মালিক শাহ আলমকে থানায় আনা হয়েছে।’

Comments