মেহেরপুরে আ. লীগ ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ৮
মেহেরপুর জেলার গাংনী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর সমর্থদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের মোট আট জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে শিশিরপাড়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আশরাফুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, তার সমর্থকদের ওপর হামলা করা হয়েছে এবং তার পাঁচ কর্মী আহত হয়েছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা তার কাছে থাকা ৯ রাউন্ড গুলিসহ ব্যক্তিগত রিভলবার (৭.৬ ক্যালিবার) ছিনিয়ে নিয়ে ফাঁকা গুলি করে রিভলবার ফেলে পালিয়ে যায়।
তবে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আহম্মেদ আলীও একই অভিযোগ করেছেন। তিনি জানান, তার কর্মীদের অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আশরাফুল ইসলাম।
আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আহম্মেদ আলী। তিনি বলেন, ‘ভোট চাইতে উনার (স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম) পিস্তল নিয়ে যেতে হয়। সেই পিস্তল দিয়ে আওয়ামী লীগ কর্মীদের গুলি করে তাদরেই উপর দোষ চাপানো হয়।’
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বজলুর রহমান জানান, সংবাদ পেয়ে গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলামের পিস্তল থেকে গুলি হয়েছে। তবে, কে বা কারা গুলি করেছে তা তদন্ত করে দেখতে হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম সোমবার তিনটার দিকে শিশিরপাড়ায় নির্বাচনী প্রচারে যান। এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী আহম্মেদ আলীর সমর্থকরাও সেখানে উপস্থিত হন। পরে, দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে থাকে। ফলে, উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের আট জন আহত হন।
এ ঘটনায় আহতদের কয়েকজনকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী নাজমুল হোসেন (৩৫), উজ্জ্বল হোসেন (২৫) ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক রোকনুজ্জামানকে (২৫) হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
Comments