প্রবাস

জাপানের আরও ৭ প্রদেশে জরুরি অবস্থা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় জাপানের আরও সাত প্রদেশকে জরুরি অবস্থার আওতায় আনা হয়েছে। প্রদেশগুলো হলো- ওসাকা, কিয়োতো, আইচি, ফুকুওকা, গিফু, তোচিগি এবং হিয়োগো।
JAPAN.jpg
ঐতিহ্যবাহী পোশাকের সঙ্গে মুখে মাস্ক পরে টোকিওর রাস্তায় হাঁটছেন তিন তরুণী। ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় জাপানের আরও সাত প্রদেশকে জরুরি অবস্থার আওতায় আনা হয়েছে। প্রদেশগুলো হলো- ওসাকা, কিয়োতো, আইচি, ফুকুওকা, গিফু, তোচিগি এবং হিয়োগো।

আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।

এসব প্রদেশের স্থানীয় সরকারের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুগা এ ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে সুগা বলেন, ‘আইচি, হিয়োগো এবং ওসাকাকে জরুরি অবস্থা ঘোষণার চাপ আসছিল। বিশেষজ্ঞ কমিটির পর্যালোচনায় এসব প্রদেশগুলোকে জরুরি অবস্থার আওতায় আনা হলো। প্রয়োজনে জরুরি অবস্থা আরও সম্প্রসারিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় এক বছর ধরে আমরা করোনার সঙ্গে লড়াই করছি। আগামীতেও আমরা একসঙ্গে লড়াই করে জয়ী হবো বলে আমি বিশ্বাস করি।’

তিনি জনগণের সমর্থন অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান।

এর আগে, গত ৭ জানুয়ারি রাজধানী টোকিও, সাইতামা, চিবা এবং কানাগাওয়া প্রিফেকচারে একমাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। যা কার্যকর থাকবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। নতুন করে আরও সাত প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করায় ৪৭টি প্রদেশের মধ্যে ১১টিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হলো।

জরুরি অবস্থা চলাকালীন সিনেমা থিয়েটার, কনসার্ট ভেন্যু, ডিপার্টমেন্ট স্টোর, পানশালা, রেস্তোরা এবং বিনোদন পার্কগুলো দ্রুত বন্ধের অনুরোধ করা হয়েছে। এসব এলাকার রেস্তোরাঁ এবং পানশালায় সন্ধ্যা সাতটার পর এলকোহল বিক্রয়ে নিষেধ করা হয়েছে। তবে, হোম ডেলিভারিতে কোনো বিধি নিষেধ নেই।

গত বছরের শেষ দিকে জাপানে করোনার তৃতীয় ঢেউ আঘাত হানে। আর নতুন বছরের শুরুতে তা মারাত্মক আকার ধারণ করে। এতে দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একপ্রকার ভেড়ে পড়েছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীদের জায়গা হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, জাপানে এ পর্যন্ত করোনায় মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩,০২,৫৭৫জন এবং মৃতের সংখ্যা ৩,০২২জন।

আরও পড়ুন:

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago